এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি,০৫ মার্চ : বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফেতে সন্ত্রাসী হামলার মামলায় এবারে তদন্তে নামল জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) । কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই দলটি সাতটি রাজ্যে একযোগে ১৭ টি স্থানে অভিযান চালিয়েছে। পাশাপাশি বেঙ্গালুরু জেলে বন্দি সন্ত্রাসীদের জেলের ভিতর থেকে দেশে নাশকতা চালানোর ষড়যন্ত্রের মামলারও তদন্ত করছে এনআইএ । আজ মঙ্গলবার সকাল থেকেই বেঙ্গালুরু ও তামিলনাড়ু সহ অন্যান্য রাজ্যে এনআইএ-এর অভিযান চলছে। এইসব স্থানে কারাগারের বন্দিরা সন্ত্রাসী ষড়যন্ত্রে জড়িত বলে জানা গেছে ।
জানা যাক,সোমবার কেন্দ্র সরকার বেঙ্গালুরুতে রামেশ্বরম ক্যাফে বোমা বিস্ফোরণের তদন্ত এনআইএ-র কাছে হস্তান্তর করেছে। এনআইএ এবং তেলেঙ্গানা পুলিশ এই মামলায় একটি বড় পদক্ষেপ নিয়েছে এবং তেলেঙ্গানা থেকে একজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
জানা গেছে যে গত বছরের ডিসেম্বরে এনআইএ এমন জায়গাগুলির তদন্ত করেছিল যেখানে সন্ত্রাসবাদীদের জড়িত থাকার সন্দেহ ছিল। গত বছরের ৯ ডিসেম্বর মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটকের বিভিন্ন এলাকা থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠনের ১৫ জন সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করা হয়। এই গ্রেপ্তারের পরে, এনআইএ টিম মহারাষ্ট্রের পুনে, মিরা রোড, থানে এবং কর্ণাটকের ব্যাঙ্গালোর সহ আরও ৪৪ টি জায়গায় অভিযান চালায়। অভিযানের সময় এনআইএ দল বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা, ধারালো অস্ত্র, অনেক নথি, স্মার্টফোন এবং অন্যান্য অনেক জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করেছে।
বর্তমানে, ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) বেঙ্গালুরুতে সন্ত্রাসী ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সাতটি রাজ্যে তল্লাশি চালাচ্ছে। জানা গেছে, গত বছরের ডিসেম্বরে বেঙ্গালুরুতে রাজভবন উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল অজ্ঞাত দুষ্কৃতীরা। তবে তদন্তের পর পুলিশ এটিকে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছে। এরপর বেঙ্গালুরুর অর্ধ ডজনেরও বেশি এলাকায় অভিযান চালায় এনআইএ।
চলতি বছরের ১২ জানুয়ারী, জাতীয় তদন্ত সংস্থা বেঙ্গালুরুর জেল থেকে লস্কর-ই-তৈবা (এলইটি) এর প্রচার এবং ‘ফিদায়েন’ হামলার ষড়যন্ত্রে একজন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এবং দুই পলাতক সহ আটজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে। অভিযুক্তদের মধ্যে কেরালার কান্নুর জেলার টি নাসির ২০১৩ সাল থেকে বেঙ্গালুরু সেন্ট্রাল জেলে যাবজ্জীবন সাজা ভোগ করছে, অন্যদিকে জুনাইদ আহমেদ ওরফে জেডি এবং সালমান খান বিদেশে আত্মগোপন করেছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। বাকিরা সন্ত্রাসীরা হল, সৈয়দ সুহেল খান ওরফে সুহেল, মোহাম্মদ উমর ওরফে উমর, জাহিদ তাবরেজ ওরফে জাহিদ, সৈয়দ মুদাসির পাশা ও মোহাম্মদ ফয়সাল রব্বানী ওরফে সাদাত। এই আট অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি, বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন, বিস্ফোরক পদার্থ আইন এবং অস্ত্র আইনের বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। বেঙ্গালুরু সিটি পুলিশ মূলত ২০২৩ সালের ১৮ জুলাই সাত অভিযুক্তের কাছ থেকে অস্ত্র, গোলাবারুদ, হাতবোমা এবং ওয়াকি-টকি বাজেয়াপ্ত করার পরে মামলাটি নথিভুক্ত করেছিল ।।