এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি,০৪ মার্চ : এক সপ্তাহ ধরে নিখোঁজ রয়েছেন ভারতীয় নৌবাহিনীর নাবিক সাহিল ভার্মা । রবিবার সমুদ্রে মোতায়েন করা ভারতীয় নৌবাহিনীর একটি জাহাজ থেকে তিনি রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে গেছেন । নাবিকের নিখোঁজ হওয়াকে “দুর্ভাগ্যজনক” বলে অভিহিত করে, মুম্বাই-সদর দফতর পশ্চিম নৌ কমান্ড বলেছে যে একটি উচ্চ-পর্যায়ের তদন্ত দল গঠন করে নিখোঁজ নাবিকের সন্ধান চালানো হচ্ছে । যদিও নিখোঁজ সাহিল ভার্মার বাবা-মা সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন ।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারী একটি নৌ জাহাজ থেকে হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যান ওই জাহাজের নাবিক সাহিল ভার্মা । তারপর তার সন্ধানে বিশাল অনুসন্ধান অভিযান শুরু করা হয়েছে । জম্মুর ঘৌ মানহাসান এলাকার বাসিন্দা সাহিলের বাবা সুভাষচন্দ্র ভার্মা এবং মা রমা কুমারী তাদের ছেলের নিরাপদে প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহার হস্তক্ষেপ চেয়েছেন । সুভাষ ভার্মা সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, ‘এটা আশ্চর্যজনক যে একজন সৈনিক তার নৌ জাহাজ থেকে নিখোঁজ হয়েছে এবং তার সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না । আমাকে বলা হয়েছে যে জাহাজে স্থাপিত সিসিটিভি ক্যামেরায় কাউকে সমুদ্রে পড়ে যেতে দেখা যায়নি। তাহলে আমার ছেলে কোথায় ?’
তিনি আরও বলেন,’আমরা ২৯ ফেব্রুয়ারী একটি কল পেয়েছিলাম যাতে জানানো হয় যে আমাদের ছেলে তার দুই দিন আগে জাহাজে নিখোঁজ হয়েছে … আমরা রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারী) তার সাথে শেষ কথা বলেছিলাম। এবং তার কী হয়েছিল তা কিছুই জানা যায়নি ।’ তার দাবি, ‘আমরা বিচার চাই এবং আমাদের ছেলের হদিস জানতে চাই । আমরা চাই সরকার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের জন্য মামলাটি সিবিআই (সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন)-এর কাছে হস্তান্তর করুক। আমার ছেলে ডিউটিতে ছিল এবং ডিউটি করার সময়েই নিখোঁজ হয়েছে ।’
নিখোঁজ সাহিল ভার্মার মা রমা কুমারী বলেন, ‘ছেলের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে কিছু গোপন করা হচ্ছে। জাহাজে ৪০০ জন লোক ছিল এবং শুধুমাত্র আমার ছেলে নিখোঁজ হয়ে গেছে । আমার প্রার্থনা এবং দাবি শুধুমাত্র আমার ছেলে যাতে নিরাপদে ফিরে আসে ।’
নিখোঁজ নাবিকের মামা গৌতম বলেছেন যে সাহিলের অন্তর্ধান সিবিআই তদন্তের জন্য উপযুক্ত মামলা কারণ আমরা শুনেছি যে জাহাজটি আবার সমুদ্রে যাওয়ার আগে একদিনের জন্য বেসে ফিরে এসেছিল । এটা কিভাবে সম্ভব যে সাহিল জাহাজ থেকে নিখোঁজ হল ?’ তার অভিযোগ,’ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যে পরিবারকে জানানো উচিত ছিল এবং একটি তদন্ত বোর্ডের নির্দেশ দেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু এই দুটি ঘটনাই দুই দিন পরে ঘটেছে ।’।