এইদিন ওয়েবডেস্ক,মঙ্গলকোট(পূর্ব বর্ধমান),০২ মার্চ : লোকসভার ভোটের মুখেই পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোটে এক বিজেপি নেতার উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে । অভিযোগের তীর তৃণমূলের দিকে । আক্রান্ত বিজেপি নেতার নাম মেঘনাথ দাস । মঙ্গলকোটের লাখুরিয়া অঞ্চলের সাগিরা গ্রামের বাসিন্দা মেঘনাথ দাস বোলপুর সাংগঠনিক জেলার যুবমোর্চার জেলা সম্পাদক বলে জানা গেছে । ঘটনার প্রতিবাদে আজ শনিবার মঙ্গলকোট থানায় তুমুল বিক্ষোভ দেখায় বিজেপির নেতাকর্মীরা । বিক্ষোভ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি যুবমোর্চার সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা দুবরাজপুরের বিধায়ক অনুপ সাহা, যুবমোর্চার বর্ধমান বিভাগের কনভেনার সৌমেন কার্ফা, কো-কনভেনার সৌরভ মজুমদার, বোলপুর সাংগঠনিক জেলার যুবমোর্চার সভাপতি সব্যসাচী রায় প্রমুখ ।
শুক্রবার এনিয়ে মঙ্গলকোট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন আক্রান্ত বিজেপি নেতা মেঘনাথ দাসের স্ত্রী তনুশ্রী দাস । তিনি অভিযোগে জানিয়েছেন, শুক্রবার সাগিরা গ্রামে কালীপুজো ছিল । দুপুর আড়াইটা নাগাদ গ্রামবাসীদের প্রসাদ বিতরণ করা হয়েছিল । সেই সময় একই গ্রামের বাসিন্দা নীলকমল মন্ডল, গোপাল মন্ডল, ননীগোপাল দাস, কুশ দাস এবং প্রদীপ মণ্ডল এসে স্বামীকে প্রথমে অকারণ গালিগালাজ শুরু করে । প্রতিবাদ করলে তারা বাঁশ, চেলাকাঠ ও ইঁট নিয়ে হামলা চালানোর পাশাপাশি ব্যাপক চর ও ঘুষি মারে । লাঠি বা ইঁটের আঘাতে তার স্বামীর মাথা ফেটে প্রবল রক্ত ক্ষরণ শুরু হয় । খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন । সেখানে গিয়ে তার স্বামীকে রক্তাক্ত অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন ।’ তনুশ্রী অভিযোগ যে হামলাকারীরা তাদের গ্রাম ছাড়া করার হুমকি দেয় । এমনকি থানা-পুলিশ কেউ কিছু করতে পারবে না বলেছে হুশিয়ার দেয় তারা।
জানা গেছে, পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা জখম মেঘনাথ দাসকে উদ্ধার করে প্রথমে মন্তেশ্বর ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায় । সেখান থেকে তাকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় । যদিও বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসার পর ওই বিজেপি নেতাকে বর্ধমান হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় । বর্তমানে বাড়িতে শয্যাশায়ী ওই বিজেপি নেতা ।
দুবরাজপুরের বিধায়ক অনুপ সাহার অভিযোগ, আহত মেঘনাথবাবুর চিকিৎসা ঠিক মতো হয়নি হাসপাতালে । এমনকি মেঘনাথ বাবু স্ত্রী থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও এফআইআরের কপি পর্যন্ত তাকে দেওয়া হয়নি । আজ আমরা আইসির সঙ্গে দেখা করেছি । আইসি আমাদের জানিয়েছেন কয়েকজন গ্রেপ্তার হয়েছে এবং বাকিদের সন্ধান চলছে ।’ তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছেন যে মেঘনাথবাবু ও তার পরিবারকে গ্রাম ছাড়া করা ষড়যন্ত্র চলছে। তার ও তার পরিবারের উপর ফের হামলা হতে পারে । অথবা মেঘনাথবাবুকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হতে পারে । তিনি মেঘনাথবাবু ও তার পরিবারের নিরাপত্তার জন্য দাবি জানিয়েছেন । যদিও তৃণমূল জানিয়েছে এই ঘটনার সঙ্গে তাদের দলের কোনো সম্পর্ক নেই ।।