এইদিন ওয়েবডেস্ক,দুমকা,০২ ফেব্রুয়ারী : শুক্রবার গভীর রাতে ঝাড়খণ্ডের দুমকা জেলায় একজন ৪৫ বছর বয়সী স্প্যানিশ মহিলা গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন । ঘটনাটি ঘটেছে দুমকা জেলায় হাঁসডিহা থানার অন্তর্গত কুরুমাহাট এলাকায় । তথ্য অনুসারে, নির্যাতিতা তার স্বামীর সাথে বাইকে করে যাচ্ছিলেন । সেই সময় প্রায় ৮-১০ জন দুষ্কৃতী তাদের বাধা দেয় এবং স্বামীকে মারধর করে মহিলাকে একটি নির্জন স্থানে টেনে নিয়ে গিয়ে গনধর্ষণ করে । স্বামীর সাথে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করে নিজের ওপর ঘটে যাওয়া পাঠ ছবি অত্যাচারের ঘটনা বর্ণনা করেছেন ওই স্প্যানিশ মহিলা ।
টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে দুমকার এসপি পিতাম্বর সিং খেরওয়ার বলেছেন যে এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে । তিনি বলেন, ‘রাত সাড়ে ১০টা থেকে ১১টা নাগাদ ওই মহিলা একটি পুলিশের টহলদারি ভ্যান থামান । মহিলার শরীরে কিছু ক্ষত ছিল। পুলিশ সদস্যরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায় যেখানে সে চিকিৎসকদের তিনি জানান যে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। আমরা মামলাটি খতিয়ে দেখছি।’
স্প্যানিশ দম্পতি সম্পর্কে, তিনি বলেছিলেন যে প্রশাসনের কাছে তাদের দুমকা ভ্রমণ বা তারা যে জায়গায় ক্যাম্পিং করেছিল সে সম্পর্কে কোনও আগাম তথ্য ছিল না প্রশাসনের কাছে । পুলিশ আরও বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করছে ।
জানা গিয়েছে, ওই মহিলা ও তাঁর স্বামী দুমকা হয়ে ভাগলপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। সেখানে তাঁবুতে রাত কাটানোর জন্য হাঁসডিহা বাজারের কাছে থেমেছিলেন। সেইসময় একদল ব্যক্তি সেখানে এসে উপস্থিত হয় এবং ওই মহিলাকে গণধর্ষণ করে। অভিযুক্তরা ওই দম্পতিকে মারধর করে বলেও অভিযোগ । উল্লেখ্য, ওই দম্পতি এশিয়া ভ্রমণে বেড়িয়েছিলেন। দুমকাতে আসার আগে তাঁরা প্রথমে পাকিস্তান হয়ে বাংলাদেশ গিয়েছিলেন। তারপর তাঁদের ঝাড়খণ্ড হয়ে নেপালে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল । কিন্তু ভারতের ঝাড়খন্ডে এসে তাদের নারকীয় অভিজ্ঞতার মধ্যে করতে হলো ।
ঘটনাচক্রে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যেদিন ঝাড়খণ্ডে ছিলেন সেই দিন এই অপরাধ ঘটেছিল।
রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অবনতি এবং চাঁদাবাজির বিষয়ে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী । রাজ্যের কংগ্রেসের জোট সরকারের শাসক ব্যবস্থাকে তীব্র আক্রমণ করে প্রধানমন্ত্রী একটি সমাবেশে অভিযোগ করেছিলেন যে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) দুর্নীতিতে আকন্ঠ ডুবে আছে এবং তোষামোদের নীতির ফলে রাজ্যে অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেছে।
প্রধানমন্ত্রী কটাক্ষ করেন,’জেএমএম মানে জমকে খাও’। রাজ্যে তোষামোদ বৃদ্ধি পাচ্ছে, চাঁদাবাজি শীর্ষে… আইন-শৃঙ্খলা পিছিয়ে গেছে ।’।