বলি,রাস্তা দিয়ে ও কে যাও?
পুরুষ দেখতে পাচ্ছি!
হ্যাঁ ভাই, মা’র ভীষন অসুখ
ওষুধ কিনতে যাচ্ছি।
তা তুমিই কেন, আর কেউ নেই?
দিদি অথবা বোন?
আসলে আমিই বাড়ির সবার বড়ো
ওরা তো মহিলা জন।
স্ত্রী তো করে বাড়ির কাজ
মেয়ে পাঁচ বছরের মোটে,
(তাই )সংসারের সকল বোঝা
আমার কাঁধেই জোটো।
পুজোও আবার এসে গেলো,
সামনেই বোনেরও বিয়ে,
(আসলে) বাবা থাকলে ভাবতাম না
এসব কিছু নিয়ে।
অফিসেও হাজার কাজে
নাস্তানাবুদ হচ্ছি,
পুরুষ হবার কী দায়িত্ব
এখন বুঝতে পারছি।
কেনাকাটা, দায়-দায়িত্ব
সবই একার হাতে,
তারই মাঝে গল্প-গুজব একটু সবার সাথে।
তা- বলি পুরুষ, খেয়েছো কিছু?
নাকি পেটে কিছুই নেই!
(তারপর) সবার ভালো করতে গিয়ে
দুর্বল হবে নিজেই।
না না,ও ঠিক খেয়ে নেবো
এখন সময় কোথায়?
সুস্থ থাকুক প্রিয়জনেরা
যারা আছে যেথায়।
পুরুষ কখনো নিজের কথা
ভাবেনা আলাদা করে
সংসারেরই সচ্ছলতা সে
ভেবেই শুধু মরে।
আচ্ছা,অনেক গল্প হলো
এবার তবে আসি?
যদিও পুরুষ বাইরে কঠিন
(তবু)পরিবারকে বড্ড ভালোবাসি।।