এইসব ওয়েবডেস্ক,আরামবাগ(হুগলি),০১ মার্চ : দূর্নীতির জালে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে পড়া রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা সন্দেশখালির ‘ত্রাস’ শেখ শাহজাহান হল মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির নতুন বিড়ম্বনা । যার প্রভাব যে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে পড়তে চলেছে তা এক প্রকার স্পষ্ট । এই দুই জ্বলন্ত ইস্যুকে হাতিয়ার করে মমতা ব্যানার্জিকে কার্যত তুলোধোনা করলেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী ।
শুক্রবার আরামবাগে দলীয় জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে সন্দেশখালি ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রাজা রামমোহন রায়ের ভূমিতে সন্দেশখালির মতো ঘটনা যে ঘটতে পারে আমি তা বিশ্বাসই করতে পারছি না । সন্দেশখালির ঘটনা দেখে হয়তো রাজা রামমোহন রায়ের আত্মাও কাঁদছে। সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা সব সীমা ছাড়িয়ে গেছে । সন্দেশখালির মা-বোনেরা মমতা দিদির কাছে সাহায্য চেয়েছিল । আজ বাংলার মানুষ দিদিকে জিজ্ঞেস করছে,সন্দেশখালীর মহিলাদের সম্ভ্রমের থেকে সামান্য কিছু মানুষের ভোট দিদির কাছে এত গুরুত্বপূর্ণ ?:
প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন তোলেন,কিভাবে দু’মাস ধরে ফেরার ছিল শেখ শাহজাহান ? কেউ নিশ্চয় তাকে আড়াল করছিল ! এই তৃণমূলকে কী ক্ষমা করা যায় ? শেষ পর্যন্ত সন্দেশখালির মা-বোনেদের আন্দোলনের কাছে মাথা নত করতে বাধ্য হয়েছে বাংলার পুলিশ।’ সেই সাথে তিনি বলেছেন, সন্দেশখালীর মা-বোনেদের সঙ্গে যা হয়েছে, তার জবাব দিতে হবে মমতা ব্যানার্জিকে । আর এইসবের জবাব ভোটের মাধ্যমে দিতে হবে।’
পাশাপাশি দুর্নীতি ইস্যুতেও সুর চড়িছেন প্রধানমন্ত্রী । পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অর্পিতার বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়ার টাকার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘লুটের টাকা ফেরাতে হবে,মোদী ছাড়বে না।’ সেই সাথে তিনি জানিয়ে দেন,’তৃণমূলকে আর লুট করতে দেব না ।’
প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত জনতাকে জিজ্ঞাসা করেন ‘যারা আপনাদের ঘরে জল পৌঁছে দিচ্ছে না তাদের কি দানাপানি বন্ধ করবেন না?’
আরামবাগের বিশাল মঞ্চে রাজ্য বিজেপির সমস্ত প্রথম সারির প্রায় সমস্ত নেতারা উপস্থিত ছিলেন । বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের মাঝে বসে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী । মঞ্চের ঠিক সামনেই বাংলা হরফে বড় করে লেখা,’আবার একবার মোদি সরকার ।’।