এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাংলাদেশ,০১ মার্চ : ভারতের দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র পাকিস্তান ও বাংলাদেশ পুরোপুরি ইসলামী কট্টরপন্থীদের দখলে চলে গেছে । দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যে ঢুকে গেছে চরম কট্টরপন্থী মানসিকতা । মুসলিম মেয়েদের ইসলামী পোশাক হিজাব নিয়ে কড়াকড়ি তারই একটি নমুনা । বাংলাদেশের
মুন্সীগঞ্জে হিজাব না পরার কারণে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীদের চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রুনিয়া সরকার নামক এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে । বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারী) বিকাল ৩টার দিকে উপজেলার রাজানগরের সৈয়দপুর আব্দুর রহমান স্কুল এন্ড কলেজে এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত রুনিয়া সরকার ওই স্কুলের বিজ্ঞান এবং স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিষয়ের শিক্ষিকা ।
জানা গেছে,মাইসা জাহান, মাইসা আক্তার, তানজিলা আক্তার, আনীল আক্তার, তাসফিয়া, মাহাদিয়া, সুমাইয়া ও ইফাসগসহ ১০-১২ জন ছাত্রী বুধবার হিজাব পরে স্কুলে এসেছিল । তাদের জন্য একে একে চুল কেটে দেয় শিক্ষিকা রুনিয়া সরকার । মাইসা জাহান ও তানজিলা আক্তারের বাড়ী সৈয়দপুরে, আনীলা আক্তার ও তাসফিয়ার বাড়ী মোহাম্মদপুরে, মাহাদিয়া ও সুমাইয়ার বাড়ী মধুপুরে, ইফার বাঐখোলার বাসিন্দা ।
মাইসা জাহান জানায়, ‘আমার একটাই হিজাব। ওই হিজাবটা ময়লা হয়ে গেছে। তাই ধুয়ে দিয়েছি। এজন্য পরে যেতে পারিনি। ম্যাডামকে অনেক অনুরোধ করেও আমি রক্ষা পাইনি, ম্যাডাম আমাদের চুল কেটে দিল। তাই আমি আর স্কুলে যামু না।’ মাইসা জাহানের বাবা কহিনুর আলি বলেন, ‘আমার মেয়ে অন্যায় করেছে বললেই হত, আমরা শাসন করতাম। তাকে চুল কেটে ন্যাড়া বানিয়ে দিল। তাই আমার মেয়েটা ভেঙে পড়েছে। ও আর স্কুলে যেতে চাইছে না।’
সৈয়দপুর আব্দুর রহমান স্কুল এন্ড কলেজের এক শিক্ষক বলেন,’স্কুলের বর্তমান সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোহম্মদ গোলাম হোসেন সভাপতি হওয়ার পর ছেলে মেয়েদের ড্রেস কোড চেঞ্জ করেছেন, এ ব্যাপারে তিনি শিক্ষকদের খুব চাপে রাখেন এবং এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি ।’ যদিও বিষয়টি নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হতেই অভিযুক্ত শিক্ষিকা রুমিয়া সরকার মোবাইল ফোনের সুইচ অফ করে দিয়েছেন ।
ঘটনা প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাব্বির আহমেদ বলেন, ‘বিষয়টি আমরা বুধবার রাত ৯ টা নাগাদ জানতে পারি। ঘটনা শুনে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষকে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছি।’
সৈয়দপুর আব্দুর রহমান স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোহম্মদ ফরিদ আহমেদ বলেন,’ক্লাসেই কাঁচি ছিল তাই হাতের কাছে পেয়ে এ কাজ করে ফেলেছে। ভয় দেখানোর জন্য কিছুটা চুলও কেটেছে বলে শুনেছি, তবে কাজটা অন্যায় করেছে । আমরা ব্যবস্থা নেবো ।’।