দিব্যেন্দু রায়,কেতুগ্রাম(পূর্ব বর্ধমান),২৯ ফেব্রুয়ারী : পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রামে একটি পুকুর খনন করার সময় উঠে এলো একটি ধর্মীয় ধাতব দন্ড । প্রায় আড়াই ফুট দৈর্ঘ্যের এই দন্ডটি প্রাথমিকভাবে তামার তৈরি বলে মনে করা হচ্ছে । খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে দন্ডটি উদ্ধার করে নিয়ে আসে । পুলিশ পুরাতত্ত্ব বিভাগের খবর দেয় । দন্ডটির একাধিক খাঁজ রয়েছে । একেবারে নিচের দিকে রয়েছে একটি বাটির মতো বস্তু । প্রাচীনকালে মন্দিরে বা বিশেষ সম্প্রদায়ের সন্ন্যাসীরাই মূলত এই দন্ডটি ব্যবহার করতেন বলে মনে করা হচ্ছে । তবে কোন সম্প্রদায়ের সন্ন্যাসীরা এই প্রকার দন্ড ব্যবহার করছেন তা এখনো স্পষ্ট নয় । এই বিষয়ে কাটোয়ার বাসিন্দা ইতিহাস গবেষক স্বপন ঠাকুর বলেন,’দণ্ডটি বহু প্রাচীন এবং এটি বৈষ্ণবীয় সহজিয়া সম্প্রদায়ের একটি ধর্মীয় চিহ্ন বলে মনে হচ্ছে । তবে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য আরও গবেষণার দরকার ।’
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,কেতুগ্রাম থানার রাজুর গ্রামে এদিন জলাশয়ের জল বের করে দিয়ে খননের কাজ চলছিল । জেসিবি মেশিনের সাহায্যে জলাশয় থেকে মাটি তুলে ফেলা হয়েছিল । আজ বৃহস্পতিবার মাটি তোলার সময় জেসিবি মেশিনের ডগায় পাঁকের সঙ্গে ওই বস্তুটি উঠে আসে । ঘটনার কথা চাওড় হতেই বস্তুটিকে দেখার জন্য প্রচুর লোকজন জড়ো হয়ে যায় । কেউ কেউ বস্তুটিকে পূজার্চনাও শুরু করে দেন । পরে খবর পেয়ে কেতুগ্রাম থানার পুলিশ গিয়ে সেটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে ।
প্রসঙ্গত, কাটোয়া মহকুমা এলাকার অগ্রদ্বীপ, কেতুগ্রাম মঙ্গলকোটে হিন্দু ধর্মের বহু প্রাচীন নিদর্শন আছে । সমগ্র এলাকাটি পূর্ব বর্ধমান জেলার প্রাচীন জনপদ গুলোর মধ্যে অন্যতম । মঙ্গলকোট বা কেতুগ্রামে প্রায়ই প্রাচীন দেবদেবীর মূর্তি উদ্ধার হয় । কিন্তু সেই প্রাচীন ইতিহাস নিয়ে সেভাবে কোন গবেষণাই হয়নি । আজ পর্যন্ত এই বিষয়ে কোন সরকারই কোন প্রকার উদ্যোগ নেয়নি বলে অভিযোগ ।।