এইদিন ওয়েবডেস্ক,মঙ্গলকোট(পূর্ব বর্ধমান), ২৮ ফেব্রুয়ারী : সপ্তাহখানেক আগে পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোট থানার পিন্ডিরা গ্রামের রায় পরিবারের মন্দির থেকে চুরি যায় প্রাচীন বিষ্ণুমূর্তি ও শিবলিঙ্গ । আজ বুধবার পিণ্ডিরা গ্রামের কাছে সড়কপথের একটি কালভার্টের নিচে থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় মূর্তি দুটি উদ্ধার হওয়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে । কারন মূর্তিদুটির পুরাতাত্ত্বিক মূল্য প্রচুর । সুতরাং অত মূল্যবান দুটি মূর্তি চোরেদের ফিরিয়ে দেওয়ার কারন নিয়ে উঠছে প্রশ্ন । জানা গেছে,পারিবারিক মন্দির হলেও রায় পরিবারের দুই আরাধ্য দেবতাকে অতি জাগ্রত বলে বিশ্বাস করতেন গ্রামবাসীরা । গ্রামবাসীদের অনুমান যে চুরি করার পর চোরের দল কোন অলৌকিক ঘটনার মুখোমুখি হয়েই ভয়ে প্রাচীন মূর্তি দুটি ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ।
জানা গেছে,পিণ্ডিরা গ্রামের রায় পরিবারের মন্দির তিনশো বছরের বেশি প্রাচীন । মন্দিরে কালো ব্যাসল্ট শিলায় নির্মিত একটি বিষ্ণু মূর্তি ও একটি শিবলিঙ্গ ছিল । কাটোয়া শহরের বাসিন্দা ইতিহাস গবেষক লেখক স্বপন ঠাকুর জানান, পাল-সেন যুগের সমসাময়িক আমলের ওই মূর্তি দুটি । তার মধ্যে বিষ্ণুমূর্তিটির গঠনশৈলী অনুযায়ী মূর্তিটিকে তখন ‘ভোগবিষ্ণু’ বলা হত । দুটি মূর্তিরই প্রচুর পুরাতত্ত্বিক মূল্য রয়েছে । সেই হিসেবে চোরেয়া মুর্তি দুটি ফেরত দেওয়ায় তিনি বিস্ময় প্রকাশ করেছেন ।
জানা গেছে, গত সপ্তাহের বুধবার রাতে মূর্তি দুটি চুরি হয়ে যায় । সকালে দেবতাদের নিত্যসেবার পুজো করতে গিয়ে চুরির বিষয়টি নজরে পড়ে পুরোহিতের । এরপর পরিবারের পক্ষ থেকে মঙ্গলকোট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয় । অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্তেও নামে । কিন্তু মূর্তি দুটি হদিস করতে পারিনি পুলিশ । এদিন গ্রামের অদূরেই একটি কালভার্টের নিচে মূর্তিদুটি বস্তা বন্দি অবস্থায় পাওয়া যায় । পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মূর্তি দুটি উদ্ধার করে প্রথমে থানায় নিয়ে আসে । পরে পরিষ্কার করে রায়পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় ।।