অবশেষে মুখোশ সামনে এলো
মুখের আদলে মেকি মুখ
প্রেমের ফুল-হারে সে অ’প্রেমের বর্ণচ্ছটা।
নিদ্রাহীন চোখ
দুঃস্বপ্নের আঁকিবুকি কাটা কালবেলায়
গভীর রঙের কদর্য উপসংহার;
যৌবনের প্রথম ধাপে পিছল খাওয়া পায়ে।
সূর্যের চারপাশে অস্পষ্ট বলয়,
চোখে না পড়ার ব্যর্থতায়
দোষারোপ করা নিজেকে
মনে হয় নিতান্ত এলেবেলে।
উপেক্ষার সারমর্ম টুকু প্রাপ্তির বাতায়নে
কেঁদে ফেরা অপরিণত বাসনা
তীর বিদ্ধ পাখির মত পাখা ঝাঁপটায়
বিষন্নতার প্রহরগুলো হয়ে ওঠে
তীক্ষ্ণ সূচের মতোই –
বিদীর্ণ করা
হৃদয়ের সমস্ত গ্রন্থি শিরা উপশিরা!
অপরাহ্ন বেলার শেষ আলোক ছটায়
পৌঁছে যাওয়া এক নিদারুন সমাপ্তির
বিষন্ন কালবেলায়
ইস্পাতি ক্ষণের চাকচিক্যে নিবিড় লাঞ্ছনা।
হেরে যেতে চাইনি কখনো,
হারানো টা ছিল নিতান্ত দুঃস্বপ্ন।
অবশ্য কোন স্বপ্ন দেখি না আর;
ঘুমের অধিক অনটন
নিংড়ে নিয়েছে
ঘুমের পরাগ নৃশংস অপরাগতায়!
আমি আলো নাকি অন্ধকারের নিবিড়তায়
জানার চেষ্টা করিনি কখনো;
শুধু জানি দোহারা জীবন নিয়ে
আলো আর আঁধারির মাঝখানে
অর্ধ নিমীলিত চোখে
উদ্দেশ্যহীন যাত্রা
কিছুটা বাহ্যিক কিছুটা আন্তরিক বৈভবে,
সারশূন্য জীবনের শেষ প্রান্তে–
যার দু’ফোটা অশ্রুতে লেখা যায়
অকপটে জীবনের উপসংহার।।