এইদিন ওয়েবডেস্ক,কেতুগ্রাম(পূর্ব বর্ধমান),২৪ ফেব্রুয়ারী : গত ১৫ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যায় পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রাম থানার নবস্থা গ্রামের বাসিন্দা রমজান শেখ নামে এক সাইকেল আরোহী যুবক সাদিপুর থেকে বেড়ুগ্রাম যাওয়ার সময় তার পথ আটকে ভোজালি দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপায় কয়েকজন দুষ্কৃতী । যদিও সৌভাগ্যক্রমে পাশের আমগড়িয়া গ্রামের এক বাসিন্দা মোটরসাইকেলে চড়ে সেই দিক দিয়ে এলে বরাত জোরে প্রাণ বেঁচে যায় তার । আক্রান্ত যুবকের পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনার তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে পুলিশের সামনে । পুলিশ জানতে পারে যে এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে আক্রান্ত যুবকের স্ত্রীর সঙ্গে প্রতিবেশী গ্রামের বাসিন্দা এক যুবকের পরকীয়া সম্পর্ক । আর তার জেরেই পথের কাঁটা স্বামীকে চিরতরে সরিয়ে দিতে চেয়েছিল রমজান শেখের স্ত্রী রাবেয়া খাতুন (২২) । পুলিশ রাবেয়ার পাশাপাশি তার প্রেমিক কেতুগ্রামের বেড়ুগ্রামের বাসিন্দা জামসেদ শেখ (২৮)কে গ্রেফতার করেছে । আজ শনিবার ধৃতদের কাটোয়া মহকুমা আদালতে তোলা হলে জামসেদ শেখকে তিনদিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে এবং রাবেয়াকে জেল হেফাজতে পাঠানো হয় ।
জানা গেছে, রমজান শেখ ও রাবেয়া খাতুনের পাঁচ বছর এবং আড়াই বছর বয়সের দুই সন্তান রয়েছে । অন্যদিকে জামসেদও বিবাহিত এবং তারও দুই সন্তান রয়েছে । রমজান শেখের উপর হামলার পর পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে তার বয়ান নেয় । তখনই নিজের স্ত্রী রাবেয়ার উপর সন্দেহ প্রকাশ করে রমজান । সেই সূত্র ধরেই ঘটনার তদন্ত নেমে পুলিশ রাবেয়া ও জামসেদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কের কথা জানতে পারে । এরপর পুলিশ তাদের আটক করে জেরা করতে রমজানের উপর হামলার আসল উদ্দেশ্য সামনে আসে ।
পুলিশের জেলায় জামশেদ কবুল করে যে মোবাইল ফোনের সূত্রে রমজানের স্ত্রী রাবেয়ার সঙ্গে তার পরিচয় হয় । ক্রমে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে । এরপর দুজনে মিলে রমজানকে রাস্তা থেকে সরানোর ষড়যন্ত্র করে । ঘটনার দিন আরো কয়েকজন দুষ্কৃতীকে নিয়ে সে রমজানের উপর প্রাণঘাতী হামলা চালায় । পুলিশ জানিয়েছে এই ঘটনায় যুক্ত বাকিদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে । অন্যদিকে রমজানের স্ত্রী রাবেয়ার দাবি যে তিনি জামশেদ কে চেনেনা । তার স্বামীর উপর হামলার ঘটনায় তার কোন হাতই নেই । পুলিশ জানিয়েছে,ধৃত জামশেদকে জেরা করা হচ্ছে ।।