এইদিন ওয়েবডেস্ক,সন্দেশখালি,২২ ফেব্রুয়ারী : সন্দেশখালির পলাতক নেতা শেখ শাহজাহানের অবিলম্বে গ্রেপ্তারির দাবিতে আজ সন্ধ্যা থেকে সন্দেশখালি থানায় অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার । সেই সময় রিপাবলিক বাংলার সাংবাদিক সন্তু পানের মতোই সুকান্ত মজুমদারকেও কার্যত টেনে হেঁচরে তুলে নিয়ে গেল পুলিশ । তারপর একই কায়দায় সুকান্তকের টোটোই চাপিয়ে ফেরিঘাটে নিয়ে যাওয়া হয়। তোলা হয় একটি লঞ্চে । যদিও লঞ্চে সাংবাদিকদের অনুমতি দেওয়া হয়নি ।
এদিকে রাজ্য সভাপতির প্রতি পুলিশের এই আচরণের তীব্র সমালোচনা করেছেন বিধানসভার বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারী । আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কলকাতায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয় শুভেন্দু বলেন, ‘এতে প্রমাণিত হয়েছে যে পুলিশ ভক্ষকের রক্ষক এবং প্রতিবাদীদের সম্মান প্রদর্শন করে না,তা সে যত বড় নেতা বা সাংবাদিক হোন না কেন ৷পশ্চিমবঙ্গে কার্যত পুলিশ রাজ চলছে । একজন সংসদের সঙ্গে যা ব্যবহার করা হয়েছে এটা অত্যন্ত অন্যায়।’
জানা গেছে,আজ বিকেলে ধৃত বিকাশ সিংহের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে সন্দেশখালি গিয়েছিলেন সুকান্ত মজুমদার । সেখান থেকে তিনি সন্দেশখালি থানায় যান । কিন্তু তাকে থানায় ঢোকার অনুমতি দেয়নি পুলিশ। এরপরেই দলীয় কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন । সেই সময় থানার বাইরে সব আলো অফ করে দেয়া হয় বলে অভিযোগ । দাবি তোলেন অবিলম্বে শেখ শাজাহানকে গ্রেফতার করতে হবে । জানা গেছে যে অবস্থান বিক্ষোভ তুলে নেওয়ার জন্য পুলিশ সুকান্ত মজুমদারকে পাঁচ মিনিট সময় দিয়েছিল । কিন্তু সুকান্তবাবু টানা মানায় তাকে কার্যত চ্যাঙদোলা করে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ ।
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘এটা অত্যন্ত অন্যায়। অনুমতি নিয়েই উনি গিয়েছিলেন । একজনের সিকিউরিটিকে সঙ্গে নিয়ে গেছিলেন, দু’জনার বেশি জাননি । সুকান্তবাবু শুধু একটা রাজনৈতিক দলের রাজ্য সভাপতি নন, উনি একজন সাংসদ । তার সঙ্গে কথা বলা উচিত ছিল, তাকে আশ্বাস দেয়া উচিত ছিল, তাকে অনুরোধ করা উচিত ছিল ।’ তিনি আরো বলেন, ‘পুলিশ হয়তো ভাবছে এদের বড় বড় ব্যারিস্টার আছে। আগের মত পার পেয়ে যাবে । তাই বিচার ব্যবস্থার এ বিষয়ে সজাগ হওয়া উচিত । কারণ জনপ্রতিনিধিরা তারা নিজেদের কাজ করতে পারছেন না এবং কথা বলতে পারছেন না ।’ এদিকে সন্দেশখালি তে আরো ৯ জায়গায় নতুন করে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে বলে জানা গেছে ।।