এইদিন ওয়েবডেস্ক,ঢাকা,২২ ফেব্রুয়ারী : বাংলাদেশে ফের খাৎনা করতে গিয়ে শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে । এবারে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে সুন্নতে খাৎনা করতে গিয়ে মৃত্যু হল আয়হাম নামে এক শিশুর । দিন কয়েক আগে ঢাকার ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খৎনা করাতে গিয়ে আয়ান নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছিল । তার রেশ না কাটতেই এবার মালিবাগের জেএস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টারে খৎনা করাতে গিয়ে আহনাফ তাহমিন আয়হাম (১০) নামে এক চতুর্থ শ্রেণীর পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে।
জানা গেছে, মালিবাগের জে এস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টারে অর্থোপেডিক ও ট্রমা সার্জন ডাঃ এস এম মুক্তাদিরের তত্ত্বাবধানে মঙ্গলবার রাতে আহনাফ তাহমিন আয়হামকে খৎনা করাতে আসেন তার বাবা ফখরুল আলম ও মা খায়কুন নাহার চুমকি। রাত আটটার দিকে খৎনা করানোর জন্য অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়ার পর আর ঘুম ভাঙেনি শিশুটির । ঘণ্টাখানেক পর হাসপাতালের পক্ষ থেকে শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করা হয়।মৃত শিশির মা খাইরুন নাহারের অভিযোগ, লোকাল অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়ার কথা থাকলেও তারা ফুল অ্যানেস্থেসিয়া দিয়েছে। যে কারণে তার ছেলের আর জ্ঞান ফেরেনি।
আহনাফের বাবা ফখরুল আলম বলেন, আমরা চিকিৎসককে বলেছিলাম যেন ফুল অ্যানেস্থেসিয়া না দেওয়া হয় আমার ছেলেকে । এজন্য আমি বারবার তাদের পায়ে ধরেছি। কিন্তু তারপরও আমার ছেলেকে ফুল অ্যানেস্থেসিয়া দেয় চিকিৎসক ডাক্তার মুক্তাদির। ।
এই বিষয়ে জেএস ডায়গনষ্টিক ও চেকআপ সেন্টার হাসপাতালের পরিচালক এস এম মোক্তাদির বলেন, খৎনা করতে লোকাল এনেস্থেশিয়া দেওয়া হয়েছিল। বয়স দশ বছরের বেশি আর ওজন একটু বেশি হওয়ায় তার অ্যাংজাইটি রিলিফের জন্য অ্যানেস্থাইটিসের পরামর্শমতে ‘হাফ এম্পল সেডিল’ দেওয়া হয়েছিল। একারণে তার বমি শুরু হয়। কিন্তু বমি ফুসফুসে চলে গেলে জটিলতার সৃষ্টি হয় । তাকে বাচানোর জন্য সব ধরণের চেষ্টা করেছি আমরা । কিন্তু আমরা তাকে বাঁচাতে পারিনি।
বিষয়টি নিয়ে হাতিরঝিল থানার সাব ইনসপেক্টর রুহুল আমিন বলেন, সুন্নতে খতনা করতে গিয়ে রাজধানীর মালিবাগের জেএস হাসপাতালে শিশু আহনাফ তাহমিদের মৃত্যুর ঘটনায় দুই চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় শিশুটির বাবা ফখরুল আলম মামলা করেছিলেন । এতে আটজনকে আসামি করা হয়েছে বলে তিনি জানান ।
এদিকে, ঘটনার পরই ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে উধাও হয়ে যান অভিযুক্ত চিকিৎসক ডাঃ মুক্তাদির। তার খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ । এছাড়া জে এস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টারটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলেও থানা থেকে জানানো হয়েছে। জানা গেছে, মৃত শিশু আহনাফ তাহমিদ মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিল ।।