আমিরুল ইসলাম,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),২০ ফেব্রুয়ারী : পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার থানার সোৎখালি এলাকায় কলেলের মাঠে চড়ার সময় কীটনাশক মিশ্রিত ঘাস খেয়ে বিষ খেয়ে মারা গিয়েছিল একটি অন্তঃসত্ত্বা গাভি ও চারটি ছাগল । সোমবার দুপুরের ওই ঘটনার তদন্ত করে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য থানায়। আবেদন জানিয়েছিলেন ক্ষতিগ্রস্ত পশুপালকরা । অবশেষে ব্যক্তিগত ভাবে উদ্যোগী হয়ে তিন পশুপালককে চারটি ছাগল কিনে দিলেন ভাতার থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি প্রসেনজিৎ দত্ত । আজ দুপুরে পুলিশের পক্ষ থেকে পশুপালকদের হাতে ছাগলগুলি তুলে দেওয়া হয় । ছাগল পেয়ে ভাতার থানার ওসির মানসিকতার প্রশংসা করেছেন হতদরিদ্র পরিবারের তিন পশুপালক।
সোৎখালি এলাকার সিংহভাগ বাসিন্দাদের পেশা মূলত জনমজুরি । পাশাপাশি তারা প্রায় সকলেই গবাদি পশু প্রতিপালন করেন । সোৎখালি সংলগ্ন এলাকাতেই রয়েছে ভাতার কলেজ । কলেজের সীমানা প্রাচীর না থাকায় কলেজ ভবন সংলগ্ন মাঠে ওই সমস্ত পশুপালকের গবাদি পশুগুলি চড়তে যায় । সোমবার সকালেও বেশ কিছু পশু কলেজ মাঠে চড়তে গিয়েছিল । কিন্তু ঘাস খাওয়ার কয়েক ঘন্টা পর থেকেই একে একে গরু ও ছাগল অসুস্থ হতে শুরু করে । শেষ পর্যন্ত মাঠেতেই মারা যায় একটি অন্তঃসত্ত্বা গাভী চারটি ছাগল। বেশ কয়েকটি ছাগল অসুস্থ হয়ে পড়ে । এরপর মৃত পশুগুলোকে থানায় নিয়েছে অভিযোগ জানান জনৈকত এক পশুপালক । ওসব পালকদের অভিযোগ যে পার্শ্ববর্তী গ্রামের জনৈকও এক কৃষক ইচ্ছা করে কলেজ মাঠে কীটনাশক স্প্রে করে দিয়েছে । তারা ওই কৃষকের কাছ থেকে যথাযথ ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করার জন্য পুলিশের কাছে আবেদন জানান ।
জানা গেছে, ওই সমস্ত দরিদ্র পশুপালকদের কথা শোনার পর ভাতার থানা ওসি প্রসেনজিৎ দত্ত তাদের আশ্বস্ত করেন যে তাদের ছাগল কিনে দেবেন । এরপর ব্যক্তিগতভাবে উদ্যোগী হয়ে তিন পশুপালকের চারটি ছাগল কিনে আনা করান ভাতার থানার ওসি । এই দিন পশুপালদের হাতে ছাগলগুলিকে তুলে দেওয়া হয় ।
ক্ষতিগ্রস্ত পশুপালক শামসুদ্দিন আনসার আলী বলেন, ‘গতকাল বড়বাবু বলেছিলেন একটা ব্যবস্থা করে দেবেন কিন্তু তিনি যে এত তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা করে দিবেন বুঝে উঠতে পারেনি। তাই আমরা গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে বড় বাবুকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। তবে প্রকৃত যারা দোষী তাদের চিহ্নিত করে আইনি সাজার ব্যবস্থা করুন ওসি সাহেব ।’।