সেখ মিলন,ভাতাড়(পূর্ব বর্ধমান),১৯ ফেব্রুয়ারী : পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতাড় থানার সোৎখালী এলাকায় দাশরথি হাজরা মেমোরিয়াল কলেজ মাঠে বিষ ছড়িয়ে গরু ও ছাগল মেরে দেওয়ার অভিযোগ উঠল । আজ সোমবার কলেজ মাঠে চড়ার সময় ঘাস খেয়ে একের পর এক গরু ও ছাগল অসুস্থ হতে শুরু করে । তার মধ্যে একটি অন্তঃসত্ত্বা গাভীর মৃত্যু হয় এবং মৃত্যু হয় তিনটি ছাগলের। পাশাপাশি বেশ কিছু ছাগল অসুস্থ হয়েছে । এই ঘটনায় ভাতার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,ভাতাড় থানার সোৎখালী এলাকায় রয়েছে দাসরথি হাজরা মেমোরিয়াল কলেজ । কলেজটি চারপাশে রয়েছে পার্শ্ববর্তী কাঁচগড়িয়া, কাঁটার সহ কয়েকটি গ্রামের কৃষকদের বেশ কিছু কৃষি জমি । জমিগুলিতে নিয়মিত আমন ও বোরো ধানের চাষ হয় ।
জানা গেছে, পার্শ্ববর্তী সোৎখালী এলাকার বাসিন্দাদের পেশা মূলত জনমজুরি ও গবাদি পশু পালন । প্রতিদিন সকালে তারা গবাদি পশুগুলো ছেড়ে দেয় । কলেজে সীমানা প্রাচীর না থাকায় পশুগুলি কলেজ মাঠ ও মাঠ সংলগ্ন এলাকায় গিয়ে ঘাস খায় । প্রতিদিনের মতো এদিনও গবাদি পশুগুলো ছেড়ে দিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা । কিন্তু পশুগুলি কলেজ মাঠে ঘাস খাওয়ার পর একে একে অসুস্থ হতে শুরু করে । তারপর দুপুর নাগাদ একটি অন্তঃসত্ত্বা গরু ও তিনটি ছাগল ছটফট করতে করতে সেখানেই মারা যায় ।
সোৎখালী গ্রামের বাসিন্দা দুলো হাজরার অভিযোগ, ‘কলেজ ভবনের পাশে কাঁচগড়িয়া গ্রামের এক চাষির কৃষিজমি রয়েছে । জমিতে তিনি বোরো চাষ করেছেন। আজ সোমবার সকালে তিনি জমিতে কীটনাশক ছড়াতে আসেন । কিন্তু তিনি নিজের জমিতে কীটনাশক ছড়ানোর পাশাপাশি কলেজের মাঠেও কীটনাশক স্প্রে করে দেন । আর সেই কীটনাশক মিশানো ঘাস খেয়েই অতগুলো অবলা পশুর মৃত্যু হয়ে গেল ।’ তিনি বলেন, গবাদি পশুগুলি তার জমিতে নেমে ধান খেতো,সেই আক্রোশেই ইচ্ছা করে তিনি কলেজ মাঠের ঘাসে কীটনাশক স্প্রে করিয়ে গবাদি পশুগুলো মেরে দিয়েছেন।’
জানা গেছে, একের পর এক গবাদি পশুর মৃত্যু ও অসুস্থ হতে শুরু করার পর সুকুমার হাজরা নামে সোৎখালী গ্রামের এক ক্ষতিগ্রস্ত পশুপালক এনিয়ে ভাতাড় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন পাশাপাশি একটা ট্রাক্টরে মৃত পশুগুলিকে চাপিয়ে থানায় নিয়ে আসা হয় । অভিযোগে সুকুমারবাবু জানিয়েছেন, আজ আনুমানিক দুপুর ২ টার সময় সোৎখালীর কলেজ মাঠে বিষ মেশানো ঘাস খেয়ে তার একটি গরু, তার প্রতিবেশী দুলাল হাজরার দুটি ছাগল এবং শামসুদ্দিন আনসার আলীর একটি ছাগল মারা গেছে । তিনি ঘটনার তদন্তের জন্য পুলিশের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত পশুপালকদের দাবি যে অভিযুক্ত কৃষকের কাছ থেকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করে দিক পুলিশ । পুলিশ জানিয়েছে ঘটনা তদন্ত চলছে ।।