এইদিন ওয়েবডেস্ক,জলপাইগুড়ি,১৮ ফেব্রুয়ারী : সম্প্রতি ত্রিপুরার বিশালগড়ের সিপাহিজলা জ্যুলজিক্যাল পার্ক থেকে একটি সিংহ ও একটি সিংহিকে আনা হয়েছে জলপাইগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্কে । দুই সিংকেই রাখা হয়েছে একই খাঁচায় । কিন্তু সিংহ ও সিংহির নাম নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক । কারন সিংহের নাম মুঘল হানাদার ‘আকবর’ এর নামে । আর স্ত্রী সিংহির নাম রাখা হয়েছে ‘সীতা’ । এখন এই খাঁচার মধ্যে ওই সিংহ ও সিংহিকে রাখায় আপত্তি তুলেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি)। ভিএইচপির অভিযোগ, এভাবে হিন্দু ধর্মের অবমাননা করছে জলপাইগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষ । এনিয়ে শুক্রবার ভিএইচপির তরফ থেকে কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় রাজ্যের বন দপ্তর এবং জলপাইগুড়ি সাফারি পার্কের ডিরেক্টরকে আসামি করা হয়েছে। এমনকি সিংহ দুটির নাম বদলেরও দাবি তুলেছে ভিএইচপি ।
আগামী মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪) বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের এজলাসে মামলাটির শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে, রাজ্যের বন দপ্তর জানিয়েছে, আগে থেকেই সিংহ দুটির এই নামকরণ করা হয়েছে। আর ত্রিপুরা থাকতেই এ সিংহ দুটি একসঙ্গে ছিল। পশ্চিমবঙ্গে আসামাত্র বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক শুরু করা হয়েছে।
জানা গেছে,ত্রিপুরার বিশালগড়ের সিপাহিজলা চিড়িয়াখানায় দুষ্মন্ত ও চিন্ময়ী সিংহ দম্পতির ঘরে ২০১৬ সালে তিনটি শাবকের জন্ম হয়।এই তিনটি শাবকের নাম রাখা হয়েছিল বিখ্যাত হিন্দি চলচ্চিত্র ‘অমর, আকবর ও অ্যান্টনি’-এর নাম অনুসারে – অমর, আকবর ও অ্যান্টনি। দুই বছর পর ২০১৮ সালে, একই সিংহ দম্পতির ঘরে আরেকটি সিংহ শাবকের জন্ম হয়। এই মেয়ে শাবকটির নাম রাখা হয়েছিল সীতা । মোগল হানাদার সাম্রাজ্যের তৃতীয় সম্রাটের নাম ছিলআকবর। অন্যদিকে প্রভু শ্রীরামের অর্ধাঙ্গিনী দেবী সীতা হিন্দু ধর্মে অত্যন্ত সম্মানীয়া এক দেবী । ফলে দেবী সীতার নামে সিংহির সঙ্গে এক মুঘল হানাদারের নামে এক সিংহকে রাখায় হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত বলে মনে করছে অনেকে ।।