এইদিন ওয়েবডেস্ক,লন্ডন,১৭ ফেব্রুয়ারী : লন্ডন ভিত্তিক দি ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ) বৃহস্পতিবার নিজেদের ওয়েবসাইটে বিশ্বের ১৬৭টি দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে ২০২৩ সালের গণতন্ত্র সূচক (ডেমোক্রেসি ইনডেক্স) -এর তালিকা প্রকাশ করেছে । ওই তালিকায় একেবারে নিচের দিকে রয়েছে পাকিস্থান । পাকিস্তান ১১৮তম অবস্থানে রয়েছে। সন্ত্রাসী গোষ্ঠী তালিবান শাসিত আফগানিস্তানের তালিকার নিচের দিকে থাকলেও পাকিস্তানের থেকে কিছুটা ভালো অবস্থানে রয়েছে । ১৬৭তম স্থানে রয়েছে আফগানিস্তান । আর এক ইসলামি রাষ্ট্র বাংলাদেশের গনতন্ত্র ক্রমশ তলানির দিকে যাচ্ছে । আগের বছর ২০২২ সালে ৭৩তম অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু এখন দুই ধাপ পিছিয়েছে ৭৫ স্থানে চলে এসেছে ।
ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ) প্রতিটি দেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়া, সরকারের কার্যকারিতা, রাজনৈতিক সংস্কৃতি, রাজনৈতিক অংশগ্রহণ ও নাগরিকের স্বাধীনতা- এ পাঁচটি ধাপ বিবেচনায় কোন দেশ কত নম্বর পেয়েছে, সেই স্কোরের ভিত্তিতে দেশগুলোর গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা মূল্যায়ন করেছে । সূচকে বিশ্বের দেশগুলোর গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থাকে চারটি ক্যাটেগরিতে ফেলা হয়েছে। যেমন, প্রথমত, পূর্ণ গণতন্ত্র, দ্বিতীয়ত, ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র, তৃতীয় হাইব্রিড শাসনব্যবস্থা ও চতুর্থত, কর্তৃত্ববাদী শাসন ব্যবস্থা । ইআইইউর মতে, এবার সূচকে বিশ্বের ১৬৭টি দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে ২৪টিতে পূর্ণ গণতন্ত্র রয়েছে। ৫০টি দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ত্রুটিপূর্ণ। বাংলাদেশসহ ৩৪টি দেশে হাইব্রিড শাসনব্যবস্থা বিদ্যমান। এছাড়া সবচেয়ে বেশি ৫৯টি দেশে চলছে কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থা।
ইআইইউ জানিয়েছে, এবার সূচকে ৭৫তম অবস্থানে থাকা বাংলাদেশের স্কোর ৫.৮৭। এই হিসেবে বাংলাদেশে ‘হাইব্রিড শাসনব্যবস্থা’ বিদ্যমান রয়েছে। বাংলাদেশে ২০০৬ সালে গণতন্ত্রের ধরন ছিল ‘ত্রুটিপূর্ণ’। এরপর ২০০৮ থেকে সর্বশেষ ২০২৩ সাল পর্যন্ত দেশটির গণতন্ত্র ‘হাইব্রিড শাসনব্যবস্থা’য় রয়েছে। হাইব্রিড শাসনব্যবস্থা বলতে ইআইইউ বোঝাচ্ছে, এটি এমন একটি শাসনব্যবস্থা যেখানে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রায়ই বাধাগ্রস্ত হয়। এই পরিস্থিতিতে বিরোধী দলের ওপর শাসকগোষ্ঠীর চাপ থাকে। এছাড়া দুর্নীতির বিস্তার, বিচারব্যবস্থার পরাধীনতা, দুর্বল আইনের শাসন এমন শাসনব্যবস্থার অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
ইআইইউর সূচকে এবার সবচেয়ে বেশি ৯.৮১ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে নরওয়ে। তালিকায় দ্বিতীয় নিউজিল্যান্ড ও তৃতীয় অবস্থানে আইসল্যান্ড।
এবারের তালিকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২৯তম ও ব্রিটেন ১৮তম অবস্থানে রয়েছে। অন্যদিকে রাশিয়ার অবস্থান ১৪৪ তম এবং চীন রয়েছে ১৪৮ তম স্থানে।
গণতন্ত্র সূচকে তলানিতে (১৬৭তম) আফগানিস্তান, তার ওপরে দুই অবস্থানে রয়েছে মিয়ানমার (১৬৬তম) ও উত্তর কোরিয়া (১৬৫তম)। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের চেয়ে কিছুটা ভালো অবস্থানে রয়েছে ভারত ও শ্রীলঙ্কা। সূচকে ভারতের অবস্থান ৪১তম এবং শ্রীলঙ্কা ৭০তম। অন্যদিকে ভূটান ৮১তম, নেপাল ৯৮তম এবং পাকিস্তান ১১৮ তম অবস্থানে রয়েছে ।।