এইদিন ওয়েবডেস্ক,কেতুগ্রাম(পূর্ব বর্ধমান),১৬ ফেব্রুয়ারী : অনুষ্ঠান বাড়ি যাওয়ার সময় এক যুবকের পথ আটকে ধারল অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপানোর ঘটনা ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রামে । বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে কেতুগ্রাম থানার সাদিপুর থেকে বেড়ুগ্রাম যাওয়ার রাস্তায় । জখম যুবক রমজান শেখ(৩৩) বর্তমানে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চিকিৎসাধীন ।
জানা গেছে, কেতুগ্রাম থানার নবস্থা গ্রামে বাড়ি রমজান শেখের । তারা পাঁচ ভাই । রমজান বড় । তারা সকলেই ভিন রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করেন । রমজানের মেজ ভাই সেলিম বাঙ্গালোরে একটি পাউরুটির কারখানায় কাজ করত । গত ১৫ জানুয়ারী কারখানায় একটি দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয় । দেহ বাড়িতে এনে কবরস্থ করা হয়েছিল । সেই সূত্রে সকল ভাই বাড়ি ফিরেছিল । রমজান ও তখন থেকে বাড়িতেই রয়েছেন।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাইকেলে চড়ে বেড়ুগ্রামের একটি অনুষ্ঠান বাড়িতে যাচ্ছিলেন রমজান । সাদিপুর থেকে বেড়ুগ্রাম যাওয়ার রাস্তা ধরে যাওয়ার সময় ৫-৬ জন অজ্ঞাত দুষ্কৃতী তারপর আটকায়। তারপর তারা ভোজালি নিয়ে তার উপর চড়াও হয়ে এলোপাথারি কোপাতে শুরু করে । রমজান ছুটে পালানোর চেষ্টা করলে হামলাকারীরা তার পিছু ধাওয়া করে কোপায় । সেই সময় ওই রাস্তা দিয়ে মোটরসাইকেলে চড়ে যাচ্ছিলেন পার্শ্ববর্তী আমগড়িয়া গ্রামে এক ব্যক্তি । তিনি আমগড়িয়া গ্রামে এসে ঘটনার কথা জানালে লোকজন সেখানে ছুটে যায় । এদিকে লোকজন দেখে দুষ্কৃতীরা চম্পট দেয় এবং বরাতজোরে প্রাণে বেঁচে যান নবস্থার ওই যুবক । পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে থাকে উদ্ধার করে প্রথমে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসে সেখান থেকে তাকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় ।
জখম যুবক জানিয়েছেন, ঘটনার দিন সকাল দশটা নাগাদ এক ব্যক্তি তাকে একটি অজানা নম্বর থেকে ফোন করে ২৭ হাজার টাকা মাসিক বেতনের কাজের প্রস্তাব দিয়েছিল । যদিও বারবার জিজ্ঞেস করা সত্ত্বেও নিজের পরিচয় জানায়নি ফোন করা ব্যক্তি । সন্ধ্যায় হামলাকারীদের মধ্যে একজন বলে,’আমিই তোকে ফোন করেছিলাম’।
প্রাথমিকভাবে পুলিশে অনুমান যে পূর্ব শত্রুতা বশত এই ঘটনা ঘটেছে । যদিও আজ শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত জখম যুবকের পরিবারের তরফ থেকে এ নিয়ে থানায় নির্দিষ্ট কোন অভিযোগ দায়ের করা হয়নি । পুলিশ জানিয়েছে ঘটনা তদন্ত চলছে ।।