এইদিন ওয়েবডেস্ক,মালদা,০১জুন : ডিল ছোড়া দূরত্বে থানা । সড়ক পথ দিয়ে সর্বদা যাতায়ত করছে পুলিশের গাড়ি । তারই মধ্যে সোনারুপোর গহনার দোকানের ইঁটের শক্তপোক্ত দেওয়াল কেটে ভিতরে ঢুকে সর্বস্ব হাতিয়ে নিয়ে পালালো দুষ্কৃতিরা । দুঃসাহসিক এই চুরির ঘটনাটি ঘটেছে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার বড়তরফ এলাকায় । লক্ষাধিক টাকার সোনার গয়না চুরি গেছে বলে দাবি দোকান মালিকের । মঙ্গলবার দোকান মালিক এনিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন । ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ । তবে এদিন বিকেল পর্যন্ত পুলিশ চুরির কোনও কিনারা করতে পারেনি বলে জানা গেছে । এদিকে থানার পাশেই এভাবে চুরির ঘটনা ঘটায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা ।
বড়তরফ বাজারে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার অনতিদুরে রয়েছে ওই সোনারুপোর দোকানটি । দোকানটি পার্থ কর্মকার ও তাঁর ভাই নব কর্মকার দু’জন মিলে চালান । সড়ক পথের ঠিক পাশেই পাকা ঘরের ওই দোকানটি । পার্থবাবুদের দোকানের ঠিক পাশেই রয়েছে একটি সাইকেলের দোকান । দুই দোকানের মাঝে একটিই দেওয়াল ।
স্থানীয় ফুল ব্যাবসায়ী নরেন দাস বলেন, ‘এদিন সকালে দোকান খুলতে এসে দেখি সাইকেলের দোকানের গেট ভাঙা । প্রথমে ভেবেছিলাম সাইকেলের দোকানেই চুরি হয়েছে । কিন্তু খবর পেয়ে সাইকেলের দোকানের মালিক এসে ভিতরে ঢুকে দেখে সোনারুপো দোকানের দিকে দেওয়াল কাটা রয়েছে । এরপর আমরা সোনার দোকানের মালিক পার্থ কর্মকার খবর দিই ।’
জানা গেছে,খবর পেয়েই ছুটে আসেন পার্থবাবু । তিনি দোকানের দুটি গেট খুলে ভিতরে ঢুকে দেখেন সোনারুপোর যাবতীয় গহনা নিয়ে চম্পট দিয়েছে দুষ্কৃতিরা । পার্থ কর্মকার বলেন, ‘আলমারিতে লক্ষাধিক টাকার সোনারুপোর গহনা ছিল । সব চুরি গেছে । একেই লকডাউনের কারনে ব্যাবসায় মন্দা চলছে । তারপর এই চুরির ঘটনায় আর হয়তো ঘুরে দাঁড়াতে পারবো না ।’
জানা গেছে,মাস তিনেক আগে নরেন দাসের ফুলের দোকানে চুরির ঘটনা ঘটে । যদিও তখন স্থানীয় দোকানদাররাই অভিযুক্তকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন । এরপর ফের পাশাপাশি দোকানে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায় ।
হরিশ্চন্দ্রপুর মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহ সভাপতি সৌরভ কেডিয়া বলেন, ‘বারবার চুরির ঘটনায় আমরা আতঙ্কিত । আমাদের দাবি অবিলম্বে এলাকায় রাতের দিকে পাহাড়ার ব্যবস্থা করা হোক । বিডিওসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্তারা কাছে চিঠি দিয়ে আমরা আমাদের দাবির কথা জানাবো ।’।