এইদিন ওয়েবডেস্ক,সন্দেশখালি,১৫ ফেব্রুয়ারী : উত্তর দিনাজপুর জেলার সন্দেশখালির তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শেখ শাজাহান ও তার বাহিনীর ও মানবিক অত্যাচারের কাহিনী ক্রমশ প্রকাশ্যে আসছে । স্থানীয় মহিলারা ভয় কাটিয়ে শাজাহান ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছেন । সংবাদমাধ্যমের সামনে তারা নিঃসংকোচে শাজাহান বাহিনীর দ্বারা যৌন নিপীড়নের কাহিনী বর্ণনা করছেন । তৃণমূলের অশোকনগরের বিধায়ক বিজেপি ও সিপিএমের বিরুদ্ধে মহিলাদের শিখিয়ে শিখিয়ে পড়িয়ে নেওয়ার অভিযোগ তুললেও, বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি সন্দেশখালিতে তৃণমূলের সন্ত্রাসের চিত্র প্রকাশ্যে নিয়ে আসছেন । আজ বৃহস্পতিবার সন্দেশখালি গিয়েছিলেন তফসিলি জাতির জাতীয় কমিশনের সদস্যা অঞ্জু বালা । তিনি নির্যাতিতা মহিলাদের সঙ্গে কথা বলার পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এরাজ্য রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার পক্ষে সওয়াল করেন ।
সাংবাদিকদের সামনে নিজের বক্তব্য পেশ করার সময় যথেষ্ট উত্তেজিত দেখা ছিল অঞ্জু বালাকে । তিনি এর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন । অঞ্জু বালা বলেন,’আমি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানীজিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই,কারণ উনি সন্দেশখালীর মহিলাদের বাংলায় বলা কথাকে হিন্দিতে অনুবাদ করে সমগ্র দেশের সামনে সন্দেশখালীর সন্ত্রাসের চিত্র তুলে ধরেছেন । এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নাম মমতা হলেও মমতার নামের কোন চিহ্ন নাই তার মধ্যে । তিনি সমগ্র ঘটনাটি ধামাচাপা দেবার চেষ্টা করেছিলেন । এখানে কোন এফআইআরই রজু করা হয়নি । এখানে এসটি,এসটি ও মৎস্যজীবী মহিলাদের ঘরে ডেকে ডেকে নির্যাতন করা হয়েছে৷ আর মুখ্যমন্ত্রী ওই সমস্ত দুষ্কৃতীদের সংরক্ষণ দিচ্ছেন,আশ্রয় দিচ্ছেন । দেশ আপনাকে ক্ষমা করবে না । গোটা দেশ আপনার কাছে সব প্রশ্নের উত্তর চাইবে ।’
তিনি আরও বলেন, ‘কমিশন কাউকে ভয় করে না । কমিশন একটি সংবিধানিক পথ আর এই সমস্ত মানুষদের রক্ষা করার জন্য আমাদের এখানে পাঠানো হয়েছে ।’ সঙ্গে আনা এক নির্যাতিতা মহিলাকে আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, ‘এরপর আর আপনাদের সঙ্গে কোন অন্যায় হতে দেব না । এখানে যেভাবে অপরাধ বেড়ে চলছে তাতে করে আমি রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করি করছি যে পশ্চিমবঙ্গের রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হোক । তা না হলে এখানকার মানুষের সুরক্ষা সম্ভব নয়।’।