প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,১৫ ফেব্রুয়ারী : সন্দেশখালি কাণ্ড নিয়ে বিজেপির বর্ধমান পুলিশ সুপার অফিস অভিযান নিয়ে বৃহস্পতিবার ধুন্ধুমার বাঁধে শহর বর্ধমানে।অভিযানে অংশ নেওয়া বিজেপির কর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তির সময় একজন পুলিশ কর্মী ও একজন সিভিক ভলেন্টিয়ার আহত হন। শেষে জল কামান ব্যবহার করে করে পুলিশ বিগেপি কর্মী ও সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করে দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে ।
সন্দেশখালি সহ পশ্চিমবঙ্গে নৈরাজ্য সৃষ্টি ও আইনশৃঙ্খলা অবনতির প্রতিবাদে এদিন রাজ্য বিজেপির তরফে জেলায় জেলায় পুলিশ সুপার অফিস ঘেরাও অভিযানে ডাকদেয়। সেই মত এদিন বেলা ১২ টার আগে বর্ধমানের টাউন হল থেকে বিজেপির মিছিল শুরু করে । মিছিল পুলিশ সুপারের অফিসের দিকে যাওয়ার আগেই জিটি রোডে কার্জনগেট চত্বরে পুলিশ বাধা দেয়। তখনই মিছিলে থাকা বিছেপি নেতা ও কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের একপ্রস্ত ধস্তাধস্তি হয়। বিজেপি কর্মী সমর্থক পর পর দুটি ব্যারিকেড ভেঙে দিয়ে পুলিশ সুপারের অফিসের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ বর্ধমান কোর্টকম্পাউন্ডের রাস্তায় নেতাজী স্ট্যাচুর সামনে পুণরায় ব্যারিকেড করে বিজেপির মিছিল আটকে দেয়।এরপর জেলা বিজেপি সভাপতি অভিজিৎ তা ও পশ্চিম বর্ধমানের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘড়ুই এর নেতৃত্বে থাকা বিজেপি কর্মী সমর্থক রাস্তায় বসে পড়ে।শুরু হয় অবস্থান বিক্ষোভ।তারই মধ্যে ফের আর একবার বিজেপি কর্মী সমর্থকরা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে পুলিশ জলকামান ব্যবহার করে।
জেলা পুলিশ সুপার আমন দীপ জানান, “ব্যারিকেডে মিছিল আটকে গেলে ইটপাটকেল ছোড়া হয়।তাতে ট্রাফিকে কর্মরত দু’জন সিভিক ভলেন্টিয়ার জখম হয়েছে“। জানা গিয়েছে জখম সিভিক ভলেন্টিয়ারের মধ্যে একজনের নাম রঞ্জিত মালিক।
যদিও দুর্গাপুর পশ্চিমের বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘড়ুই বলেন,’দলদাস পুলিশ বিনা কারণে জল কামান দিয়ে আমাদের কর্মী সমর্থকের আক্রমণ করে। মমতার পুলিশ এর থেকে আর তো কোন ভালো জানে না।চোর তোলা বাজ তৃণমূল নেতারা দিব্যি অন্যায় করে ঘুরে বেড়াচ্ছে। পুলিশ সেখ সাহাজানদের ধরতে পারছে না।’।