এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,১৪ ফেব্রুয়ারী : প্রস্তুতি ঠিক মতো না হওয়ায় গত বছর পরীক্ষায় বসেনি এক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী কিশোরী । এবারেও প্রস্তুতি বিশেষ ভালো হয়নি । তাই হতাশায় ভুগছিল মেয়েটি । শেষ পর্যন্ত পরিবারের সদস্যদের নজর এড়িয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মগোতে হল সে । এদিকে মেয়ে আত্মঘাতী হওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই একই ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হলো মা । মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার বটানিক্যাল গার্ডেন থানার বাকসাড়ার সাতঘরা এলাকায় । পুলিশ জানিয়েছে, মৃতারা হলেন আলপনা রায় (৪২) ও সায়নী রায় (১৮)। এদিকে ফ্রিও একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি আলপনাদেবীর স্বামী ।
জানা গেছে, মঙ্গলবার স্কুলে অ্যাডমিট কার্ড আনতে যাওয়ার কথা সায়নীর । সে তার মাকে একথা জানিয়েও ছিল । কিন্তু সকালের দিকে আলপনাদেবী স্নান করতে বাথরুমে চলে গেলে সেই ফাঁকে নিজের ঘরে গিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয় সায়নী। এদিকে স্নান থেকে ফিরে মেয়েকে ওই অবস্থায় দেখে আর্তনাদ করে ওঠেন আলপনাদেবী । তার চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটি আসেন । তারা সায়নীকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায় । কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি ।
জানা গেছে, ওই তরুণীর ময়না তদন্তের পর দেহটি সৎকারের জন্য শ্মশানে নিয়ে যান মৃতার পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা । কিন্তু তারা সৎকার সেরে বাড়ি ফিরে এসে দেখেন যে ঘরে মেয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়েছিল এক ঘরে একই জায়গায় ঝুলছে আলপনা দেবীর দেহ । সঙ্গে সঙ্গে তারা স্থানীয় বটানিক্যাল গার্ডেন থানায় খবর দেন। এরপর পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় । আজ বুধবার দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য হাওড়া জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে । প্রাথমিকভাবে পুলিশে অনুমান যে ওই তরুণী পরীক্ষায় প্রস্তুতি ভালো না হওয়ায় হতাশায় আত্মঘাতী হয়েছেন এবং একমাত্র সন্তানহারা মাও হতাশায় আত্মহতহননের পথ বেছে নিয়েছেন । সরস্বতী পূজোর আবহে মর্মান্তিক এই ঘটনায় সুখের ছায়া নেওয়া হচ্ছে এলাকায় ।।