এইদিন ওয়েবডেস্ক,ওড়িশা(উড়িষ্যা),১৪ ফেব্রুয়ারী : বছর বাহান্নর প্রৌঢ়ার মৃতদেহ সদ্য চিতায় চাপানো হয়েছে । এদিকে মুখাগ্মির প্রস্তুতি নিচ্ছেন মহিলার সন্তানরা । আর ঠিক তখনই ঘটে গেল পিলে চমকে দেওয়ার মত ঘটনা । শরীরের উপর কাঠ সরিয়ে ধরফর করে উঠে পড়ল ‘লাশ’ । চাইলেন খাওয়ার জল । এই দেখে শবযাত্রীর কয়েকজন তখন ভুতের ভয়ে ছুট লাগিয়ে দেন কয়েকজন গ্রামবাসী । যদিও পরিবারের লোকজন ভয় না পেয়ে চিতার উপরে বসে থাকা মহিলার কাছে এগিয়ে গেলেন । তারা সঙ্গে আনা জল পান করতে দিলেন জীবন্ত লাশকে । জল পান করার পর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যথারীতি কথাও বলেন ওই মহিলা । ওড়িশার বেরহামপুরের ঘটনা ।
জানা গেছে,মহিলার নাম বিজু আম্মা । খারাপ স্বাস্থ্যের কারণে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল । যেখানে চিকিৎসকরা তার পরীক্ষা নিরীক্ষা করে মহিলাকে মৃত বলে ঘোষণা করেছিল । এরপর মহিলার দেহটি বাড়ি ফিরিয়ে আনা হয় । বাড়িতে কিছুক্ষণ দেহটি রাখার পর নিয়ে যাওয়া হয় গ্রামের শ্মশানে । মৃতদেহটিও চিতায় সাজানো কাঠের উপর রাখা হয় । তার কয়েক মিনিট পরেই বিজু আম্মা শ্বাস নিতে শুরু করেন এবং নড়াচড়া করছিলেন । এরপরই তিনি উঠে চিতার উপর বসে পড়েন ।
আম্মার পরিবার অত্যন্ত দরিদ্র হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্য অর্থ সংগ্রহ করেছিলেন সৎকারের ব্যবস্থা করেছিলেন । যাইহোক, তিনি হঠাৎ বেঁচে ওঠেন । আম্মা তার চোখ খুলেছিলেন এবং পরিবারের লোকজনের প্রশ্নের উত্তরও দেন । এদিকে এই ঘটনায় তোলপাড় পড়ে গেছে গোটা রাজ্যজুড়ে । একজন স্থানীয় বাসিন্দা যিনি শেষকৃত্যে যোগ দিতে এসেছিলেন তিনি বলেছেন, ‘ভ্যান চালককে আবার ডাকা হল এবং আম্মা একই গাড়িতে বাড়ি নিয়ে যাওয়া হল ।’
কিন্তু কিভাবে বেঁচে উঠলেন ওই মহিলা ? এখন এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে । ডাক্তাররা কি ভুল করেছেন নাকি এমনি এমনিই জীবন ফিরে এসেছে ? কেউ কেউ বলছেন, এ ধরনের ঘটনায় ডাক্তাররা অনেক সময় না জেনেই জীবনকে মৃত ঘোষণা করেন, অনেক সময় অলৌকিক ঘটনাও ঘটে ।।