এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,১৩ ফেব্রুয়ারী : উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা জারি করা নিয়ে প্রশ্ন তুলল খোদ কলকাতা হাইকোর্ট । আদালত সন্দেশখালি ১৪৪ ধারা খারিজ করে দিয়ে জানায় যে এনিয়ে কোন নথি দেখাতে পারেনি রাজ্য সরকার । বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত মূল অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার না করে ১৪৪ জারি করাকে গ্রামের মানুষকে আটকানোর ‘কৌশল’ বলে মন্তব্য করেছেন । আদালতের এই রায় আগে আজ মঙ্গলবার বিধানসভায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন,’বিজেপিকে আটকানোর জন্যই সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা জারি করিয়েছিলেন মমতা ব্যানার্জি ।’
সোমবার সন্দেশখালি যাওয়ার পথেই শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপির পরিশোধীয় দলকে আটকে দেয় পুলিশ । এনিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন শুভেন্দু অধিকার । আজ তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যেই সন্দেশখালির প্রতিবাদী মহিলাদের ভয় দেখানো শুরু করে দিয়েছে,আমরা খবর পাচ্ছি । তিনি (মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি) ১৮ তারিখ অব্দি ১৪৪ ধারা জারি করে বিজেপিকে আটকাতে চাইছেন। যাতে আমরা ওই মহিলাদের সঙ্গে যোগাযোগ না করতে পারি এবং তাদের নিরাপত্তা দিতে না পারি ।’ তিনি সন্দেশখালিতে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টারও অভিযোগ তুলেছেন শাসক দলের বিরুদ্ধে । এই বিষয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘সুমিত কুমার এবং মিস্টার রহমান বলে যে এসপি আছে, এরা রাজীব কুমারের নির্দেশে ও মমতা ব্যানার্জির ইচ্ছায় পার্থ ভৌমিক এবং নারায়ণ গোস্বামীদের তত্ত্বাবধানে প্রমান লোপাট করছে । মহিলাদের এলাকা ছাড়া করছে । বাসন্তীর গুন্ডা রাজা গাজিরা মালঞ্চ দিয়ে ওখানে অস্ত্র পাঠাচ্ছে এবং ভয় দেখাচ্ছে প্রতিবাদীদেবী শক্তিকে।’
পাশাপাশি তিনি দাবি জানান,’আমরা চাই কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআই মহিলা আধিকারিকদের টিম বানিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিক৷ যতদিন যাবে তত প্রমাণ লোপাট করবে । অন্যথায় অল্প সময়ের মধ্যে জাতীয় মহিলা কমিশন বা এনএইচআরসিকে দিয়ে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং করে সরাসরি সিবিআইকে কোর্ট মনিটরিং-এ দিয়ে দেওয়া হোক । প্রত্যক্ষদর্শীদের অবিলম্বে কোন নিরপেক্ষ এজেন্সির নিরাপত্তায় রাখা হোক এবং তাদের বাড়িতে সিসিটিভি সেন্ট্রাল ফোর্স মোতায়েন করে দেওয়া হোক ।’ তিনি বলেন, ‘আমার বক্তব্য প্রত্যক্ষদর্শীদের নিরাপত্তা এবং খুব দ্রুত স্বশাসিত এজেন্সিকে নামাতে হবে । তা না হলে প্রত্যক্ষদর্শীদের পর্যন্ত লোপাট করে দেওয়া হবে । মমতা ব্যানার্জি যে চিরাচরিত একটি প্র্যাকটিস আছে যে পুলিশকে দিয়ে বলা দশ হাজার টাকার একটা চাকরি দিচ্ছি, আর কত টাকা লাগবে বল, মুখটা বন্ধ রাখ ।’
যে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে তারাই তদন্ত করছে ? সাংবাদিকের এই প্রশ্নের উত্তরে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘ওখানে একটা জেনারেল ডাইরি (জিডি) পর্যন্ত করা যেত না, বলতো শাহজাহানের কাছে যাও । একটা বাচ্চা ছেলের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, দেখেছেন ? বলছে এবার জমিতে নোনা জল ঢুকিয়ে দাও, ধানটা তুলে নি । পবাচ্চাটা বলছে,আমার দাদুর দোকানটা ভেঙে লালটু দাস আর শাহজাহান প্রতীক্ষালয় করে দিয়েছে । কি ভয়ংকর অবস্থা !’ শুভেন্দু অধিকারীর কথায়,’একই ঘটনা ফলতাতে চলছে । জাহাঙ্গীরকে হুঁশিয়ার দিচ্ছি,তোমার অবস্থা সাজাহানের থেকেও খারাপ হবে । অপেক্ষা কর,খুব বেশিদিন নয় ।’।