এইদিন ওয়েবডেস্ক,০৯ ফেব্রুয়ারী : বিগত প্রায় এক দশক ধরে বলিউড ইন্ডাস্ট্রির তথাকথিত ‘ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ'(Secularism) নিয়ে চর্চা চলছে । আর এর পিছনে রয়েছে হিন্দি ছবিতে হিন্দুদের বা হিন্দু ধর্মকে ছোট করে দেখানোর চেষ্টার অভিযোগ । অমিতাভ বচ্চন থেকে শুরু করে আমির খান পর্যন্ত বলিউড অভিনেতাদের ছবিতে হিন্দু দেবদেবীদের ছোট করে দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে । আমির খানের ‘পিকে’ ছবি নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে তুমুল বিতর্ক হয়েছিল । অবশ্য ছবিটি তখন হিট হলেও আমিরকে তার মূল্য চোকাতে হয় পরের ছবিতে । অমিতাম বচ্চনের ‘কুলি’ ছবি নিয়েও চর্চা চলছে । ছবিতে ‘কুলি’ অমিতাভ বচ্চন নিজেকে ‘নাস্তিক’ বলে পরিচয় দিলেও ‘৭৮৬’ লেখা তাবিজের উপর তার অগাধ আস্থা দেখানো নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তোলেন । বলিউডিয়াদের এই প্রকার মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ভগবা ক্রান্তি (@bhagwakrantee) নামে এক এক্স ব্যবহারকারী । তিনি একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘সুনীল দত্ত ছিলেন একজন হিন্দু এবং তার স্ত্রী ফাতিমা রশিদ অর্থাৎ নার্গিস একজন মুসলিম ছিলেন। তাদের সম্পর্কের খবর আন্ডারওয়ার্ল্ডে গেলে হুমকি পান সুনীল দত্ত।নার্গিসকে বিয়ে করার জন্য সুনীল দত্ত হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম গ্রহণ করেছেন। কিন্তু তিনি ছবিতে নিজের নাম পরিবর্তন করেননি । আপনারা কি জানেন কেন…?কারন ব্যাখ্যা করে তিনি লিখেছেন,’কারণ, একটা সময় ছিল যখন মুসলিম অভিনেতারা হিন্দু নাম রাখতেন । কারণ তাদের ভয় ছিল যদি দর্শক জানতে পারে সে মুসলিম তাহলে তার ছবি দেখতে কেউ আসবে না ! এই ধরনের লোকদের মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত নাম হল ইউসুফ খান, যাকে আমরা কয়েক দশক ধরে দিলীপ কুমার বলে মনে করেছিলাম । মেহজাবীন আলিবখশ মীনা কুমারী হয়ে ওঠেন এবং মমতাজ বেগম জাহান দেহলভি মধুবালা হয়ে হিন্দু হৃদয়ে রাজত্ব করতে থাকেন। আমরা বদরুদ্দিন জামালউদ্দিন কাজীকে জনি ওয়াকার এবং হামিদ আলী খানকে ভিলেন অজিতের চরিত্রে ভাবতে থাকি। আমরা কতজন জানতাম যে নিজের সময়ের বিখ্যাত অভিনেত্রী রীনা রাইয়ের আসল নাম ছিল সায়রা খান। তারপর কি হল যে এখন এই মুসলিম শিল্পীরা হিন্দু নাম রাখার প্রয়োজন বোধ করে না, বরং তাদের মুসলিম নামটাই তাদের ব্র্যান্ড হয়ে গেছে !’
তিনি লিখেছেন,’এটা কি তাদের পরিশ্রমের ফল নাকি আমাদের ভেতর থেকে কিছু হারিয়ে গেছে? তাই এই খেলাটা ভালো করে বুঝে নিন, এটা শুধু একদিনের নয়, বহু বছরের ষড়যন্ত্রের ফল! শাহরুখ খান দিয়ে শুরু করা যাক…শাহরুখ খানের স্ত্রী গৌরী ছিব্বর একজন হিন্দু। আমির খানের স্ত্রী রীমা দত্ত/কিরণ রাও এবং সাইফ আলী খানের স্ত্রী অমৃতা সিং/কারিনা কাপুর উভয়েই হিন্দু । তার বাবা নবাব পতৌদিও হিন্দু মেয়ে শর্মিলা ঠাকুরকে বিয়ে করেছিলেন। ফারহান আখতারের স্ত্রী অধুনা ভাবানি এবং ফারহান আজমির স্ত্রী আয়েশা টাকিয়াও হিন্দু। অমৃতা অরোরা শাকিল লাদাক নামে এক মুসলিমকে বিয়ে করেছেন। সালমান খানের ভাই আরবাজ খানের স্ত্রী মালাইকা অরোরা একজন হিন্দু এবং তার ছোট ভাই সুহেল খানের স্ত্রী সীমা সচদেবও একজন হিন্দু। এমন অনেক উদাহরণ রয়েছে যেখানে হিন্দু অভিনেত্রীদের তাদের বিয়ে বাঁচাতে ধর্ম পরিবর্তন করতে হয়েছে।’
এরপর তিনি লিখেছেন,’আমির খানের ভাগ্নে ইমরানের হিন্দু স্ত্রীর নাম অবন্তিকা মালিক । সঞ্জয় খানের ছেলে জায়েদ খানের স্ত্রী মালেকা পারেখ। ফিরোজ খানের ছেলে ফারদিনের স্ত্রীর নাম নাতাশা। ইরফান খানের স্ত্রীর নাম সুতপা সিকদার।নাসরুদ্দিন শাহের হিন্দু স্ত্রীর নাম রত্না পাঠক।’ তিনি প্রশ্ন তোলেন,’একটু ভেবে দেখুন আমরা কোন চলচ্চিত্রের প্রচার করছি? বলিউডের বেশির ভাগ ছবিতেই নায়ক মুসলিম ছেলে আর নায়িকা হিন্দু মেয়ে হওয়ার কারণ কী? কারণ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সবচেয়ে বড় অর্থদাতা দাউদ ইব্রাহিম এটাই চান। টি-সিরিজের মালিক গুলশান কুমার তার কথায় কান না দিয়ে তার পরিনতি দেখেছেন সবাই।তিনি দাবি করেছেন,’আজও, একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা মুসলিম নায়ককে চুক্তিবদ্ধ করার সাথে সাথে দুবাই থেকে সহজ শর্তে ঋণ পান। ইকবাল মির্চি এবং আনিস ইব্রাহিমের মতো সন্ত্রাসী এজেন্টদের সাত তারকা হোটেলে প্রকাশ্যে মিটিং করতে দেখা যায়। সালমান খান, শাহরুখ খান, আমির খান, সাইফ আলি খান, নাসিরুদ্দিন শাহ, ফারহান আখতার, নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী, ফাওয়াদ খানের মতো অনেক নাম হিন্দি ছবির সাফল্যের গ্যারান্টি হয়ে উঠেছে । সুভাষ ঘাই, রাজকুমার সন্তোষী, সুনীল দর্শন, অনিল কুমার, মনোজ কুমার এবং রাকেশ রোশনের মতো চলচ্চিত্র নির্মাতারা এই বখাটেদের চোখের কাঁটা। টাবু, হুমা কুরেশি, সোহা আলি খান এবং জারিন খানের মতো প্রতিভাবান অভিনেত্রীদের ক্যারিয়ার জোর করে শেষ করা হয়েছিল কারণ তারা মুসলিম এবং ইসলামী শিক্ষকরা তাদের কাজকে ধর্মহীন বলে মনে করেন চলচ্চিত্রের গল্প লেখার কাজটিও সেলিম খান এবং জাভেদ আখতারের মতো মুসলিম লেখকদের ঘিরে আবর্তিত হয়েছিল।’ এরপর তিনি লিখেছেন,’আমির খানের ভাগ্নে ইমরানের হিন্দু স্ত্রীর নাম অবন্তিকা মালিক । সঞ্জয় খানের ছেলে জায়েদ খানের স্ত্রী মালেকা পারেখ। ফিরোজ খানের ছেলে ফারদিনের স্ত্রীর নাম নাতাশা। ইরফান খানের স্ত্রীর নাম সুতপা সিকদার। নাসরুদ্দিন শাহের হিন্দু স্ত্রীর নাম রত্না পাঠক।’ তিনি প্রশ্ন তোলেন,’একটু ভেবে দেখুন আমরা কোন চলচ্চিত্রের প্রচার করছি? বলিউডের বেশির ভাগ ছবিতেই নায়ক মুসলিম ছেলে আর নায়িকা হিন্দু মেয়ে হওয়ার কারণ কী? কারণ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সবচেয়ে বড় অর্থদাতা দাউদ ইব্রাহিম এটাই চান। টি-সিরিজের মালিক গুলশান কুমার তার কথায় কান না দিয়ে তার পরিনতি দেখেছেন সবাই।তিনি দাবি করেছেন,’আজও, একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা মুসলিম নায়ককে চুক্তিবদ্ধ করার সাথে সাথে দুবাই থেকে সহজ শর্তে ঋণ পান। ইকবাল মির্চি এবং আনিস ইব্রাহিমের মতো সন্ত্রাসী এজেন্টদের সাত তারকা হোটেলে প্রকাশ্যে মিটিং করতে দেখা যায়। সালমান খান, শাহরুখ খান, আমির খান, সাইফ আলি খান, নাসিরুদ্দিন শাহ, ফারহান আখতার, নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী, ফাওয়াদ খানের মতো অনেক নাম হিন্দি ছবির সাফল্যের গ্যারান্টি হয়ে উঠেছে । সুভাষ ঘাই, রাজকুমার সন্তোষী, সুনীল দর্শন, অনিল কুমার, মনোজ কুমার এবং রাকেশ রোশনের মতো চলচ্চিত্র নির্মাতারা এই বখাটেদের চোখের কাঁটা। টাবু, হুমা কুরেশি, সোহা আলি খান এবং জারিন খানের মতো প্রতিভাবান অভিনেত্রীদের ক্যারিয়ার জোর করে শেষ করা হয়েছিল কারণ তারা মুসলিম এবং ইসলামী শিক্ষকরা তাদের কাজকে ধর্মহীন বলে মনে করেন।’
ভগবা ক্রান্তি নামে ওই এক্স ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘যার গল্পে একজন সৎ-সৎ মুসলমান, একজন ভণ্ড ব্রাহ্মণ, একজন অত্যাচারী-ধর্ষক ক্ষত্রিয়, একজন কালোবাজারী বৈশ্য, একজন বিশ্বাসঘাতক নেতা, একজন দুর্নীতিবাজ পুলিশ কর্মকর্তা এবং একজন দরিদ্র দলিত নারী থাকা বাধ্যতামূলক। এসব ছবির গীতিকার ও সুরকাররাও যদি মুসলমান হন, তবেই মওলার নামে গান তৈরি হবে এবং গায়ককে পাকিস্তান থেকে আসতে হবে। এই আন্ডারওয়ার্ল্ড বখাটেদের বাস্তবতাকে চিনুন এবং হিন্দু সমাজকে সংগঠিত করুন, তবেই আমরা আমাদের ধর্মকে রক্ষা করতে পারব।’ এই পোস্টের সাথে তিনি বলিউড বয়কটের ডাকও দিয়েছেন ।।