এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,০৮ ফেব্রুয়ারী : যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ্যাপক সুমন নেহারের (৩৭) ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের পর থেকে ফের শুরু হয়েছে বিতর্ক । গত বছর প্রথম বর্ষের এক পড়ুয়ার হস্টেলের লবি থেকে নিচে পড়ে মৃত্যুর পর অভিযোগ ওঠে যে বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে ঘাঁটি গেড়ে থাকা প্রাক্তন ছাত্রদের বিকৃত কামের শিকার হতে হয় তাকে ৷ সেই জের মিটতে না মিটতেই চলতি বছরের শুরুতে উত্তরবঙ্গের বাসিন্দা এক প্রতিবন্ধী ছাত্রীর মৃত্যুর পর অভিযোগ ওঠে যে তাকে জোর করে মাদকে আসক্ত করে তোলা হয়েছিল । ওই ছাত্রীর মৃত্যুর পর এবার অধ্যাপক সুমন নেহারের মৃত্যুতেও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে দেদার মাদক সেবন নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে ।
ক্যাম্পাসে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে নেশা করার প্রতিবাদ করেছিলেন সুমনবাবু । যেকারণে তাঁকে কিছু ছাত্রছাত্রীদের মানসিক এবং শারীরিক নিগ্রহের শিকার হতে হয়েছিল ৷ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং ইউজিসিকেও বিষয়টি জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কোনো সুরাহা না হওয়ায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন সুমন নেহার । শেষ পর্যন্ত তিনি আত্মহননের পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন বলে মনে করছেন যাদবপুরের ছাত্রদের একাংশ । পাশাপাশি সম্পর্কের জটিলতার প্রসঙ্গও উঠে আসছে । বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়৷ বছর তিন ধরে মামলা চলছে এবং এই কারনে সুমনবাবু মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বলে দাবি করা হচ্ছে।
মুর্শিদাবাদের লালগোলা ব্লকের অন্তর্গত যইশতলা অঞ্চলের ধুলাউড়ি বালিপাড়ায় বাড়ি সুমন নেহারের । বাড়িতে রয়েছেন বৃদ্ধ বাবা-মা । যাতায়াতের অসুবিধার কারণে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে থাকতেন সুমনবাবু । মৃত্যুর দিন তিনেক আগে বাড়ি ফিরেছিলেন তিনি । মঙ্গলবার দুপুরে ট্রেনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেরার কথা ছিল । তার আগে দুপুর নাগাদ নিজের ঘরে তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান পরিবারের লোকজন।
এর আগে ২০২২ সালের জুলাই মাসে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তথা তত্কালীন সহ-উপাচার্য সামন্ত্যক দাসের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল । তখনও মানসিক অবসাদের প্রসঙ্গ উঠে আসে । ওই ঘটনার বছর দেড়েকের মাথায় ফের এক অধ্যাপকের আত্মহত্যার ঘটনার পর নতুন করে বিতর্কে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ।।