এইদিন ওয়েবডেস্ক,ইসলামাবাদ,০৭ ফেব্রুয়ারী : পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হবে তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে গেছে সেদেশে । এই জল্পনার মাঝেই ব্রিটিশ সংবাদপত্র গার্ডিয়ান জানিয়েছে,পাকিস্তান সেনাবাহিনী চতুর্থবারের মতো দেশটির প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ওপর আস্থা রেখেছে। মঙ্গলবার এই সংবাদপত্রটি একটি নিবন্ধে লিখেছে,নওয়াজ শরিফের প্রতি পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সমর্থনের কারনে এখন অনেকে বিশ্বাস করেছে যে এই দেশের নির্বাচনের ফলাফল সামনে আসার আগেই প্রধানমন্ত্রী নির্ধারিত হয়ে গেছে । অস্ট্রেলিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের সদস্য সামিনা ইয়াসমিন বলেছেন,’অনেকের মধ্যে একটি অনুভূতি রয়েছে যে নির্বাচনের ফলাফল পূর্বনির্ধারিত।’
দ্য গার্ডিয়ানে জন গ্রেসের লেখা প্রতিবেদনে মুসলিম লীগের নেতা নওয়াজ শরিফের ক্ষমতায় ফিরে আসার সম্ভাবনা সম্পর্কে লিখেছে,’বৃহস্পতিবার নির্বাচনের পর যে ব্যক্তি পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হবেন বলে আশা করা হচ্ছে, তিনি হলেন এমন একজন যিনি প্রায় চার দশক ধরে পাকিস্তানের একজন পরিচিত ব্যক্তিত্ব, আর তিনি হলেন নওয়াজ শরিফ । নওয়াজ শরিফ তিন মেয়াদে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, সম্ভবত ব্রিটেনে নির্বাসন থেকে ইসলামাবাদে ফিরে আসার পর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চতুর্থ মেয়াদে পৌঁছানোর পথে ।’
এই প্রতিবেদন অনুসারে, পাকিস্তানে প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণা পূর্ববর্তী সময়ের তুলনায় নীরবে অনুষ্ঠিত হয়।দাবি অনুযায়ী, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সঙ্গে পর্দার আড়ালে করা চুক্তির ফলে নওয়াজ শরিফের নির্বাসন থেকে পাকিস্তানে ফিরে আসা সম্ভব হয়েছিল ।অনেকেই শরীফকে এদেশের প্রধানমন্ত্রী পদে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর নির্বাচিত প্রার্থী হিসেবে অভিহিত করেছেন। পাকিস্তানের প্রাক্তন এই প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘ অর্থনৈতিক সংকট থেকে দেশকে বের করে আনতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
লাহোরের বাসিন্দা সানা সেলিম বলেছেন,’আমরা নওয়াজ শরীফ ফিরে আসুক চাই কারণ আমরা একটি অর্থনৈতিক সংকটের সম্মুখীন । আর নওয়াজ শরিফের পরিবার ক্ষমতায় ফিরে এলেই পাকিস্তানে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনবে বলে আমরা আশাবাদী ।’
এই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে পাকিস্তানের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা হিসাবে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কারাগারের আড়ালে রয়েছেন এবং এই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। খানের সমর্থকরা তার কারাদণ্ডকে নির্বাচনী জালিয়াতির ভিত্তি হিসেবে দেখছেন।এদিকে, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নওয়াজ শরীফের তিন মেয়াদের অকালেই শেষ হয়ে যায় দেশটির সামরিক নেতাদের সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর। বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ।।