নীহারিকা মুখার্জ্জী,হাওড়া,০৬ ফেব্রুয়ারী : যেকোনো নারীর বহু কাঙ্খিত শব্দ হলো -‘মা’। নিজের গর্ভজাত সন্তান ছাড়াও যার মুখ থেকেই একজন নারী এই ‘মা’ ডাক শুনতে পান তার প্রতি ঝরে পরে সন্তান স্নেহ। গর্ভজাত নাহয়েও ধীরে ধীরে একসময় তারা ওই নারীর সন্তান হয়ে ওঠেন। নিজের গর্ভজাত সন্তান শুভাশীষ বোধকের পাশাপাশি হাওড়ার মৌড়ীগ্ৰামের সোমা কর্মকার, পম্পা রায়, মুনমুন দেবনাথ এইভাবেই প্রতিবেশী মনীষা বোধকের সন্তান হয়ে ওঠেন। ওরা মনীষাদেবীকে মাসীমা ও জেঠিমা বলেই সম্বোধন করতেন। মনীষা দেবী হয়ে ওঠেন তিন কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের জননী।
মনীষা দেবী ভালবাসতেন শিশুদের। নিজের সাধ্যমত তাদের পাশে থাকতেন। মায়ের ভালোবাসাকে পাথেয় করে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে এই তিন ভাইবোন। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারী) ছিল মনীষা দেবীর ৯-ম মৃত্যু বার্ষিকী। তিন ভাইবোন মিষ্টি, বিস্কুট, কেক ও কলা নিয়ে দুপুরে পৌঁছে যান হাওড়ার মৌড়ীগ্ৰামের গঙ্গার ধারে এন.সি.পাল ঘাটে। ৩০ জন শিশুর হাতে তুলে দেন সেই খাবার। পাশে ছিল স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘জীবন চেতনা’ গোষ্ঠী।
সোমা দেবী বললেন,’মাসীমা ডাকতে ডাকতে কখন যে উনি আমাদের মায়ের স্নেহ দিয়ে বেঁধে ফেলে আমাদের প্রকৃত ‘মা’ হয়ে উঠছিলেন বুঝতেই পারিনি। আমরা হয়ে উঠলাম তিন ভাইবোন। নিজেদের সীমিত সামর্থ্য নিয়ে মায়ের মতই থাকার চেষ্টা করেছি শিশুদের পাশে।’।