দিব্যেন্দু রায়,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),০৬ ফেব্রুয়ারী : সাম্প্রতিক সময়ে পূর্ব বর্ধমান জেলা জুড়ে ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে চুরির ঘটনা । একের পর এক মন্দির ও দোকানে ঘটছে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা । ফের এমনই এক দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটলো কাটোয়ার অগ্রদ্বীপের একটি গহনার দোকানে । দোকানের একাধিক গেটের তালা ভেঙে নগদ ৭০ হাজার টাকা, ৬ কেজি রূপো এবং ২০০ গ্রাম সোনার গহনা নিয়ে চম্পট দিয়েছে দুষ্কৃতি দল । আজ মঙ্গলবার সকালে দোকান মালিক উৎপল ঘোষ দোকান খুলতে এসে চুরির ঘটনাটি প্রথম লক্ষ্য করেন । পরে দোকান মালিকের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে তদন্তে যায় কাটোয়া থানার পুলিশ । দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করতে ফরেনসিক দলকে ডেকে পাঠানো হয়েছে । ওই দুঃসাহসিক চুরির ঘটনায় যুক্ত ৭-৮ জনের দলটিকে এলাকার একটা সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে বলে জানা গেছে । সেই সূত্র ধরে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে পুলিশ ।
জানা গেছে, পেশায় স্বর্ণকার উৎপল ঘোষের বাড়ি পূর্বস্থলী থানার খাদাপাড়ায় । অগ্রদ্বীপের হাসপাতাল রোডে তার একটি সোনারূপোর গহনা তৈরির দোকান রয়েছে ৷ দোকানটি রয়েছে একটি মার্কেটের ভিতরে । তার দোকানে সার্টার ও কোলাপসিবল গেটের পাশাপাশি মার্কেটে ঢোকার রাস্তায় লোহার কোলাপসিবল গেটও রয়েছে । প্রতিদিনের মতো সোমবার রাত ন’টা নাগাদ তিনি দোকান বন্ধ করে বাড়ি চলে যান উৎপলবাবু । আজ দোকান খুলতে এসে তিনি দেখেন সর্বস্ব নিয়ে পালিয়েছে দুষ্কৃতীদল।
তিনি বলেন, আমার দোকানে দুটি দরজা রয়েছে । দুটি দরজাতে এই শার্টার ও কোলাপসিবল গেট আছে । আজ মঙ্গলবার সকালে দোকান খুলতে এসে দেখি মার্কেটে কলাপসিবল গেটের তালা ভাঙ্গা । আমার দোকানের একটা দরজার শাটার অর্ধেক তোলা রয়েছে । তখনই বুঝতে পারি যে ভয়ঙ্কর চুরির ঘটনা ঘটেছে । এরপর দোকানের ভিতরে ঢুকে দেখি ড্রয়ার, সিন্ধুক, আলমারি সবকটির তালা ভেঙে সর্বস্ব নিয়ে পালিয়েছে দুষ্কৃতীরা ।’ সব মিলে প্রায় ১৫ লক্ষাধিক টাকা খোওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন তিনি ৷
প্রসঙ্গত, ভাতারের বেশ কয়েকটি মন্দিরে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটেছিল সাম্প্রতিক সময়ে । আউশগ্রামের পর পর দুই গৃহস্থের বাড়িতে ঘটে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা । কাটোয়া মহকুমার কেতুগ্রামে দিন চারেক আগে একটি সোনারূপোর দোকানে হানা দিয়েছিল ৭-৮ জন দুষ্কৃতীদের একটা দল । তারা দোকানের সার্টারও ভেঙেছিল । সেই দৃশ্য সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে । কিন্তু সৌভাগ্যবশত তারা কিছুই চুরি করতে পারেনি । এখন ওই দলটি অগ্রদ্বীপের ওই সোনার দোকানে দোকানে হানা দিয়েছিল কিনা তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ ।
পুলিশ সূত্রে খবর, কেতুগ্রামের ওই সোনার দোকানে চুরির চেষ্টাকারী দলটির একজনের সঙ্গে অগ্রদ্বীপের চুরির ঘটনায় যুক্ত দলের একজনের মিল পাওয়া গেছে । তাকে চিহ্নিত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ । এদিকে একের পর এক চুরির ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায় ।।