এইদিন ওয়েবডেস্ক,ঢাকা,০৬ ফেব্রুয়ারী : গৃহবধূকে গনধর্ষণের মামলায় ১০ ধর্ষককে ফাঁসির আদেশ দিল বাংলাদেশের আদালত । বাংলাদেশের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের রাতে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ন্যাক্কারজনক ওই গনধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছিল । সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এ ১০ জন ধর্ষককে ফাঁসির সাজা শোনান বিচারক ফাতেমা ফেরদৌস । গত ২৯ নভেম্বর আদালতে দোষীদের দোষী সব্যস্ত করা হয়েছিল । মামলায় ২৩ জন সাক্ষী দেয় । মোট ১৫ জন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বর্তমানে তারা নোয়াখালী জেলা কারাগারে আছে । ঘটনার পর থেকে মোহম্মদ মিন্টু ওরফে হেলাল (২৮) নামে একজন ধর্ষক পলাতক রয়েছে।
জানা গেছে, বাংলাদেশের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রাতে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর স্থানীয় রুহুল আমিনের নেতৃত্বে একটা দল মিলে ওই গৃহবধূর বাড়িতে চড়াও হয় । বধূর স্বামী-সন্তানদের বেঁধে রেখে তাকে গনধর্ষণ করে ওই নরপশুর দলটি । নির্যাতিতা আদালতে জানিয়েছেন,ওইদিন তিনি সুবর্ণচর উপজেলায় নিজের ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে গেলে ১০-১৫ জন লোক তাকে ঘিরে ধরে তাদের পছন্দের প্রতীকে ছাপ দিতে বলেছিল। এ নিয়ে ওই লোকদের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয় । একারণে তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় তারা । এরপর ওইদিন রাত ১২ টার দিকে তারা দল বেঁধে তাদের বাড়িতে গিয়ে তাকে, তার স্বামী ও চার সন্তানকে বেঁধে ফেলে। দুর্বৃত্তরা তাদের বেধড়ক পেটায় এবং টেনেহিঁচড়ে বাড়ির পাশে পুকুর পাড়ে নিয়ে গিয়ে তাকে গনধর্ষণ করে। কয়েকজনকে চিনে ফেলায় তারা গলা কেটে হত্যা করতে চেয়েছিল। তিনি হাত-পা ধরে কান্নাকাটি করে জীবন ভিক্ষা চাইলে ধর্ষকরা হত্যা না করে ভোর ৫টার দিকে ফেলে রেখে চলে যায়। সকালে প্রতিবেশীরা তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে ।
এই ঘটনায় নির্যাতিতার স্বামী পরের দিন চর জব্বর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিন মেম্বারসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ২৭ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক জাকির হোসেন। সোমবার ধর্ষকদের ফাঁসির সাজা ঘোষণা হয় আদালতে ।।