এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি,০৫ ফেব্রুয়ারী : রোহিঙ্গা মুসলিমরা বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করছে এবং ভারতে বসতি স্থাপনের জন্য মৃত ব্যক্তিদের আধার কার্ড ও পরিচয়পত্র চুরি করছে। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে নিজেদের আড়াল করতে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা কোনো না কোনো কারণে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের নাম ও পরিচয় জোগাড় করছে । ভারতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ সম্প্রতি ভারতে রোহিঙ্গা মুসলমানদের অনুপ্রবেশ এবং বসতি স্থাপনকারী মানব পাচারকারী চক্রের বিরুদ্ধে তদন্তের সময় এর প্রমাণ পেয়েছে । এই ধরনের ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা হচ্ছে এবং তদন্তকারী সংস্থাগুলি শিগগিরই একটি বড় উদ্ঘাটন করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে ।
সূত্রগুলি প্রকাশ করে যে এনআইএ তামিলনাড়ুতে মানব পাচারকারী চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সময়, মোহাম্মদ সরিফুল বাবু মিয়াঁ, শাহাবুদ্দিন হুসেন এবং মুন্না ওরফে নূর করিমকে গ্রেপ্তার করেছিল। এই তিনজন রোহিঙ্গা মুসলিম মানব পাচারকারী চক্রের হাত ধরে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছে । তারা আধার কার্ড, রেশন কার্ড, প্যান কার্ড, জাল মার্কশিট ইত্যাদি তৈরি করে জাল পরিচয় সংক্রান্ত নথি দিত মানব পাচারকারীদের । সূত্রের খবর, এই তিনজন তদন্তকারী সংস্থার জিজ্ঞাসাবাদে কবুল করেছে যে তারা রোহিঙ্গা মুসলমানদের ভারতীয় পরিচয় দিতে মৃতদের নথি ব্যবহার করে আসছিল । শুধু ওই তিনজনই নয়, এমন অনেক অভিযুক্তের তথ্য পেয়েছে এনআইএ । এর জন্য তারা আধার কার্ড, রেশন কার্ড, প্যান কার্ড, জাল মার্কশিট ইত্যাদির মতো জাল পরিচয় নথি জুগিয়ে যাচ্ছিল ।
সূত্র জানায়, এই তিনজন তদন্তকারী সংস্থার জিজ্ঞাসাবাদে প্রকাশ করেছেন যে তারা রোহিঙ্গা মুসলমানদের ভারতীয় পরিচয় দিতে মৃতদের নথি ব্যবহার করে। এনআইএ অভিযুক্তদের কাছ থেকে এমন অনেক ব্যক্তির তথ্য পেয়েছে । এনআইএ এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করছে এবং অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে । একই সময়ে, এনআইএ, অন্যান্য অনেক তদন্তকারী সংস্থার সহায়তায়, জাল পরিচয় দিয়ে এই অনুপ্রবেশকারীদের অবস্থান সনাক্ত করে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে। তদন্তের সময় এনআইএ তামিলনাড়ু,হরিয়ানা,আসাম,পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র সহ অনেক রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের সম্পর্কে তথ্য পেয়েছে।
বাবু মিয়া ও মুন্না বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের পরিচয়পত্রের পাশাপাশি শিক্ষাগত নথি যেমন মার্কশিট সহ অন্যান্য সনদপত্র দিয়েছিল । তবে তাদেরকে ওই সমস্ত শংসাপত্র চাকরির জন্য ব্যবহার না করার নির্দেশ দিয়েছিল, যাতে রোহিঙ্গারা দেশের যেকোনো স্থানে নিরাপদে বসবাস করতে পারে।
প্রসঙ্গত,২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে জন্ম ও মৃত্যুর শংসাপত্র পাওয়ার জন্য আধার কার্ড বাধ্যতামূলক করা হয়েছে৷ মৃত্যুর শংসাপত্রের জন্য মৃত ব্যক্তির আধার কার্ড দেওয়া হলেই সেই তথ্য UADAI-তে পাঠানো হয় । মৃত ব্যক্তির আধার নিষ্ক্রিয় হয়ে গেলে তার নাম সব জায়গা থেকে মুছে যাবে । এক্ষেত্রে মৃত ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া কঠিন হবে ৷।