এইদিন ওয়েবডেস্ক,কেতুগ্রাম(পূর্ব বর্ধমান),৩০ জানুয়ারী : অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে মিডডে মিলের শব্জির বিল অনিয়মিত হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠছে । যেকারণে প্রভাব পড়ছে মিডডে মিলের মেনুতেও । আর এই কারনে গ্রামবাসীদের রোষের মুখে পড়তে হচ্ছে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের । এদিকে গ্রামবাসীদের সন্তুষ্ট রাখতে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীদের বিরুদ্ধে সরকারিভাবে কঠোর পদক্ষেপও নেওয়া হচ্ছে । ফলে এই দুইয়ের যাঁতাকলে পড়ে স্বল্প মাত্র পারিশ্রমিকে কাজ করা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীদের কার্যত নাজেহাল অবস্থা হয়ে গেছে । শেষ পর্যন্ত প্রতিবাদের পথ বেছে নিতে বাধ্য হলেন পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া মহকুমা এলাকার কেতুগ্রামের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীরা । সোমবার বেশ কিছু অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীরা কেতুগ্রাম-২ ব্লকের সুসংহত শিশুবিকাশ প্রকল্প আধিকারিকের অফিসে গিয়ে তুমুল বিক্ষোভ দেখিয়েছেন । ঘেরাও করে রাখা হয় কেতুগ্রাম-২ ব্লকের সুসংহত শিশুবিকাশ প্রকল্প আধিকারিক কৌস্তুভ দাসগুপ্তকে । শেষ পর্যন্ত সমস্যা নিরসনে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেওয়া হলে তিনি ঘেরাও মুক্ত হন ।
জানা গেছে,প্রতিটি এলাকার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীরা মাসিক চুক্তিতে নিজের নিজের এলাকার স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মিডডে মিলের জন্য শব্জি,মুদিখানা ও জ্বালানী কিনে থাকেন । সরকারীভাবে মিডডে মিলের খরচখরচার বিল প্রতি মাসে মিটিয়ে দেওয়া হলে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা ব্যবসায়ীদের বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেন । কিন্তু বিগত কয়েক মাস ধরেই সরকার ভেবে প্রাপ্য মিড ডে মিলের খরচের টাকা অনিয়মিত হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ । যে কারণে ব্যবসায়ীদের ধার মেটাতে পারছেন না অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা । সেজন্য তারা মিড ডে মিলের মেনু কাটছাঁট করতে বাধ্য হচ্ছেন । তার জেরে গ্রামবাসীদের মুখের মুখে পড়তে হচ্ছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীদের ।
জানা গেছে, কেতুগ্রাম ২ ব্লকের কয়েকটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ১৮ জানুয়ারি থেকে টানা সাতদিনদ ধরে তাদের কেন্দ্রে ডিম দেওয়া বন্ধ রাখেন । অবশ্য ২৭ জানুয়ারি থেকে তারা ফের ডিম দিতে শুরু করেন । এদিকে ডিম না পেয়ে কেন্দ্রের পড়ুয়াদের অবিভাবক ও প্রসূতিরা কেন্দ্রে এসে তুমুল বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছিল । তবে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভই শুধু নয় , কেতুগ্রাম-২ ব্লকের ১১ জন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে পড়তে হয়েছিল বিভাগীয় আধিকারিকের শো কজের মুখেও পড়তে হয় । যার জেরে ব্লকের অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয় । আর সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ দেখা গেল সোমবার দুপুরে ।
কেতুগ্রাম ২ ব্লক সুসংহত শিশুবিকাশ প্রকল্প আধিকারিক কৌস্তুভ দাসগুপ্তকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানোর পর এনিয়ে আলোচনায় বসা হলে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা তাদের ক্ষোভ উগরে দেন । অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের অভিযোগ যে মিডডে মিল নিয়ে প্রায়ই তাদের গ্রামবাসীদের হেনস্থার মুখে পড়তে হয় । তারা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন । অবশ্য কেতুগ্রাম ২ ব্লকের যে কেন্দ্রগুলিতে ৭ দিন ডিম দেওয়া হয়নি,সেই কেন্দ্রের কর্মীরা জানিয়েছেন তারা ওই ৭ দিনের বিল নেননি এবং নেবেন না ।।