এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,২৯ জানুয়ারী : রাজ্যে মেডিকেলে ভর্তিতে অনিয়মের মামলায় বিচারপতি বনাম বিচারপতির লড়াইয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল । শতঃপ্রণোদিতভাবে সেই মামলায় হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট । অবশেষে মামলাটি নিজের হাতে নিল সর্বোচ্চ আদালত । প্রসঙ্গত,রাজ্যে ডাক্তারিতে সুযোগ পেতে ভুয়ো জাতি শংসাপত্র মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় ও আদালতের অন্য বিচারপতি সৌমেন সেনের পৃথক রায়ে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল আদালতে ।
মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি সংক্রান্ত মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় । কিন্তু সেই নির্দেশ খারিজ করে দেয় বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ । সিবিআইয়ের দায়ের করা এফআইআরও খারিজও করে দেওয়া হয় । তার পরেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ও বিচারপতি সেনের মধ্যে শুরু হয় সংঘাত । বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সুপ্রিম কোর্টের কাছে লিখিত অভিযোগে জানিয়েছিলেন যে বিচারপতি সৌমেন সেন একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলকে সুবিধা পাইয়ে দিতে এই ব্যাপারে সিবিআই তদন্তে বাধা দিচ্ছেন । এমনকি তিনি সৌমেন সেনের বিরুদ্ধে তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক ব্যানার্জীর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করার বিষয়েও অভিযোগ করেছিলেন ।
কলকাতা হাইকোর্টের দুই বিচারপতির নজির বিহীন সংঘাতে আদালতে অচলাবস্থা কাটাতে শেষ পর্যন্ত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে হস্তক্ষেপ করে সুপ্রিম কোর্ট । সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতত্বে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠন করা হয় ।
আজ সোমবার ওই বেঞ্চের তরফে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ বজায় রেখে জানানো হয় যে রাজ্যের মেডিকেল সংক্রান্ত সব মামলার শুনানি সুপ্রিম কোর্টে হবে । পাশাপাশি রাজ্য সরকার এবং সিবিআইকে আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বেঞ্চ । উল্লেখ্য, ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র দেখিয়ে ১৪ জনকে মেডিকেলে ভর্তির অভিযোগ উঠেছিল । আর সেই মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে । এখন দেখার বিষয় লোকসভার ভোটের আগে সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারকে স্বস্তি দেয় কিনা ।।