নীহারিকা মুখার্জ্জী,উত্তর ২৪ পরগণা,২৮ জানুয়ারী : মনের গভীরে বাসা বেঁধে থাকা সৎ ইচ্ছে কখনোই দীর্ঘদিন চাপা দিয়ে রাখা যায়না। সুযোগ পেলেই তার বহিঃপ্রকাশ ঘটে যায়। যেমন চেপে রাখতে পারেননি উত্তর ২৪ পরগণা জেলার কাঁচড়াপাড়ার দম্পতি বিশ্বনাথ বিশ্বাস ও সুস্মিতা বিশ্বাস। দু’জনেরই ইচ্ছে ছিল বাড়ির কোনো অনুষ্ঠান দুস্থদের মাঝে পালন করা। মেয়ে স্নিগ্ধার জন্মদিন তাদের সেই সুযোগ এনে দেয়। ওদিকে মেয়েরও অবচেতন মনে ইচ্ছে ছিল চারদেওয়ালের বাইরে বেরিয়ে সবার সঙ্গে নিজের জন্মদিন পালন করা। সব মিলিয়ে নিজেদের ইচ্ছে পূরণের সুযোগ এসে যায় ‘বিশ্বাস’ দম্পতির কাছে। পাশে পেয়ে যান পাড়ার বিশিষ্ট সমাজসেবিকা সোনালী পালকে।
শনিবার, ২৭ শে জানুয়ারী, তারা হাজির হন স্থানীয় একটি ইটভাটা কর্মচারিদের সহযোগিতায় ও কচিকাচাদের উপস্থিতিতে কেক কেটে ওখানেই মেয়ের জন্মদিন পালন করা হয়। নিজের হাতে স্নিগ্ধা একে একে ৭২ জন বাচ্চার মুখে তুলে দেয় কেকের টুকরো। একইসঙ্গে সবার হাতে তুলে দেওয়া হয় দুপুরের খাদ্যসামগ্রী। একটা বেলা খাবার পেয়ে বাচ্চাগুলো খুব খুশি। সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী স্নিগ্ধাকে দেখে মনে হচ্ছিল বড়দিদি এসে দাঁড়িয়েছে ছোট ভাইদের পাশে।
জনৈক শিশুর মা অন্তরা দেবী বললেন,’আমরা গরীব মানুষ। নিজের সন্তানের মুখে ভাল খাবার তুলে দেওয়ার ক্ষমতা আমাদের নাই। মাঝে মাঝে এইধরনের মানুষগুলো আসেন বলে তাও ওরা খেতে পায়। সহৃদয় মানুষ যদি আমাদের বাচ্চাদের হাতে শীতের পোশাক তুলে দিলে খুব ভাল হয়।’
সুস্মিতা দেবী বললেন,আমি একজন মা। ওদের কষ্ট দেখে সত্যিই খুব কষ্ট লাগছে। আমার সীমিত সামর্থ্য নিয়ে ওদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। তারপর হাতজোড় করে সহৃদয় ব্যক্তিদের নিজ নিজ এলাকার অসহায় মানুষের পাশে থাকার আবেদন করেন। পাশে থাকার সোনালী দেবীর কাছে তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।।