জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,মঙ্গলকোট(পূর্ব বর্ধমান),২৬ জানুয়ারী : প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই পশ্চিম মঙ্গলকোটের সরুলিয়ায় অবস্থিত একটি বেসরকারি হিমঘর কর্তৃপক্ষ এলাকায় ব্যবসার পাশাপাশি সমাজসেবার কাজও চালিয়ে যাচ্ছে। চরম ব্যস্ততার মধ্যে বিনামূল্যে চক্ষু পরীক্ষা শিবির, স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন তারা নিয়মিত করে থাকে। এছাড়া কম্বলদান, বস্ত্রদান শিবির তো আছেই। দীর্ঘদিন ধরে বারবার তার সাক্ষী থাকার সুযোগ পেয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটলনা।
দেশের ৭৫ তম প্রজাতন্ত্র দিবসকে স্মরণীয় করে রাখতে ওই হিমঘর কর্তৃপক্ষের পরিচালনায় এবং দুই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘ফাইনড’ অর্থাৎ ‘ফ্রেন্ডস ইন নীড এণ্ড ডিড’ এবং ‘সত্য সুষমা’ ফাউন্ডেশনের সক্রিয় সহযোগিতায় হিমঘর প্রাঙ্গনে প্রায় দুই শতাধিক প্রবীণ দুস্থ মানুষের হাতে তুলে দেওয়া হয় শীতের কম্বল ও টিফিনের প্যাকেট। পাশাপাশি পঞ্চাশাধিক শিশু শিক্ষার্থীর হাতে তুলে দেওয়া হয় খাতা, পেন, স্কেল, রাবার সহ অন্যান্য শিক্ষাসামগ্রী। প্রচন্ড ঠান্ডার সময় কম্বলগুলি পেয়ে প্রাপকরা খুব খুশি। হাসিমুখ দেখা যায় কচিকাচাদের মুখে।
প্রসঙ্গত, হিমঘর কর্তৃপক্ষ প্রতিবছর এলাকায় বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজে নিজেদের নিযুক্ত রেখেছে। আপদে-বিপদে সর্বদাই তারা মানুষের পাশে থাকে এবং এভাবেই এলাকাবাসীদের কাছে তারা ঘরের মানুষ হয়ে উঠেছে। শীতবস্ত্র বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন হিমঘরের কর্ণধার সুব্রত কোনার সহ তার মা তথা ‘সত্য সুষমা’ ফাউন্ডেশনের কর্ণধার সুষমা কোনার, স্ত্রী অর্চনা কোনার, হিমঘরের প্রত্যেক কর্মচারী ও হিমঘরের সঙ্গে যুক্ত বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী এবং সাধারণ মানুষ। কোনার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে অতীতের মত এবারও অন্যান্যরাও নিজ হাতে এগুলি বিতরণ করে।
সুষমা দেবী বললেন,আমি আমার সন্তানদের বলি তোমরা তোমাদের সাধ্যমতো মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করবে। তাদের আশীর্বাদ তোমাদের কাছে সবচেয়ে বড় ‘লাভ’ হিসাবে গণ্য হবে। আজ আমি খুব খুশি আমার সন্তানরা সেই কথা রেখেছে। পাশাপাশি হিমঘরের প্রত্যেক কর্মীর ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি বলেন – এদের বাহ্যিক পরিচয় যাইহোক এরা আমার সন্তান। এদের সবার সহযোগিতার জন্যেই এতবড় একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা সম্ভব হল।’ অন্যদিকে সুব্রতবাবু বললেন,’মানুষের পাশে যদি দাঁড়াতে না পারি কি লাভ মানুষ হয়ে জন্মগ্রহণ করে? তাই চেষ্টা করি এলাকার মানুষের পাশে থাকতে ।’।