সময়ের হাত ধরেই এসেছিলে কাছে,
সময় কেমন যেন মুচকি হাসে,,
আমি একরোখা জেহাদি ভীষণ রকম,
কথা আর হয় কোথায় দুজনার সেরকম।
আমি ভুরি ভুরি সংলাপ লিখি-
যদি নাটকীয় মনে করেও একবার পড়ে ফেলো,
জীবন তো নাটকের ভাগিদার, কখনো আস্ত উপন্যাস।
একমাত্র তুমিই জানো এই লেখা জীবন্ত জবনিকা।
আমার আপন বলে কেউ নেই-
যাকে আপন বলতে দেহের শুদ্ধকরণ,সীতাকুন্ডে আগুন জ্বালিয়ে প্রমান রাখতে বাধ্য করা হয়।
সেকালের রাজসভা নেই দরবারী, তুঘলকী আইন এখনো বহাল এখনো একইরকম।
পাল্টেছে মানুষ পাল্টেছে দুনিয়ার নিয়ম –
এখন কাঠগড়ায় টেনে আনা দাঁড়করানো আসামী।
যুদ্ধ চালিয়ে প্রমান তথ্য দাখিল করে নেমে আসি সেইখানে,
যেখানে আমার পারিজাত কল্পবৃক্ষ দন্ডায়মান।
যেখানে আমার একটাই আপন বলে কেউ আছে।
সেই আপন মানে আত্মার আপনারজন।
সেইজন আর নয় কেউ –
তুমি, একমাত্র তুমি, শুধুই তুমি আমার ভালোবাসার জন।
অডিট এর ব্যস্ততা, পাঁজারাশি ফাইলের ভীড়ে,
চেহারাটা ঢাকা পড়ে যায়, ঠেলে উঠে চেয়ারখানা ছেড়ে
আঙ্গুল দিয়ে চোখের পাতায় আলতো পরশ রাখো,
ব্যস্ত প্রাচীর একলহমায় ভেঙে চূর্ণ করো,
ফিচেল হাসি ফুটিয়ে নিয়ে মুখে –
একি লড়াকু!আমার বীর সেনানী তোমার চোখের কোণে জল?
না, না, মানায় নাকি তোমায়? আমার স্বয়ংসম্পুর্না!
জীবন মানেই যুদ্ধ যুদ্ধ চারদেওয়ালের রণাঙ্গনে,
কোথাও চলে লড়াই নিজের সাথে আপন মনে।
যতবার কেউ আসামীর কাঠগড়ায় আনবে টেনে,
জানবে তুমি কেউ না থাকুক আছে তিনি
জিনি দুহাতে তোমার ভাগ্য সামলে আছেন।
কায়া আমার যতই দূরে থাক দৃষ্টি আমার নড়েনা ছায়ার থেকে।
আমার সমস্ত শক্তি দিলাম তোমায়,
আমার আল্হাদিনী লড়াকু বিজয়ী সেনানী ।।