এইদিন ওয়েবডেস্ক,২০ জানুয়ারী : জহরলাল নেহেরুর আসল ধর্ম পরিচয় কি ? ইন্দিরা গান্ধীর বংশধরেরা আদপেই কি হিন্দু ? কংগ্রেস নেতারা কেন বারবার রাহুল গাঁন্ধীকে হিন্দু প্রমান করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে ? কি উদ্দেশ্যে রাহুল গান্ধী বারবার হিন্দু তীর্থস্থানগুলিতে বারবার ছুটে বেড়াচ্ছেন ? গান্ধী-নেহেরু পরিবারের কেন এত ইসলাম প্রীতি ? এই প্রশ্ন ভারতসহ বিশ্বের আপামর হিন্দুদের মধ্যে ঘুরপাক খায় । যদিও এখনো এই রহস্য এখনো প্রকাশ্যে আসেনি । এনিয়ে এক চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন সনাতনী হিন্দু রাকেশ (@Modified_Hindu9) নামে এক ‘এক্স’ ব্যবহারকারী । তিনি দাবি করেছেন যে ফিরোজ গান্ধী খানের ছেলে ছিল না সঞ্জয় গান্ধী । তার বাবার নাম মোহাম্মদ ইউনুস । সঞ্জয় গান্ধীর খৎনা পর্যন্ত করা হয়েছিল এবং শিখ মেয়ে মানেকার সঙ্গে ইসলামি রীতি মেনে বিয়ে হয়েছিল তার । তিনি সবচেয়ে যে মারাত্মক দাবি করেছেন সেটা হল,মুঘল সাম্রাজ্য থেকেই নেহেরু পরিবারের উৎপত্তি । এনিয়ে তিনি তথ্যও দিয়েছেন ।
১৮ জানুয়ারী ২০২৪ তারিখে সোশ্যাল মিডিয়া ‘এক্স’-এ তিনি লিখেছেন, ‘নেহরু পরিবারের জঘন্য চরিত্র । সুষমাজী(সুষমা স্বরাজ) সংসদে একবার মোহাম্মদ ইউনুসের কথা উত্থাপন করেছিলেন,
যিনি নেহরুকে(জহরলাল নেহেরু) মদ এবং সুন্দরী মেয়েদের সরবরাহ করতেন। এটি কে এন রাও-এর বই “নেহরু রাজবংশ” (10: 8186092005 ISBN) এ স্পষ্টভাবে লেখা আছে । সঞ্জয় গান্ধী ফিরোজ গান্ধীর ছেলে ছিলেন না, তা নিশ্চিত করার জন্য সেই বইতে অনেক তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। তাতে স্পষ্ট লেখা আছে যে সঞ্জয় গান্ধী ছিলেন মোহাম্মদ ইউনুস নামে আরেক মুসলিম ভদ্রলোকের ছেলে। মজার ব্যাপার হল, এক শিখ মেয়ে মানেকার সাথে সঞ্জয় গান্ধীর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল মোহাম্মদ ইউনুসের বাড়িতে। সঞ্জয় গান্ধীর বিমান দুর্ঘটনার পর সবচেয়ে বেশি কেঁদেছিলেন মোহাম্মদ ইউনুস ।’
তিনি লিখেছেন,’ইউনূসের বই “ব্যক্তি আবেগ এবং রাজনীতি”তে (ISBN-10: 0706910176) স্পষ্টভাবে লেখা আছে যে সঞ্জয় গান্ধীর জন্মের পর তাকে সম্পূর্ণ মুসলিম রীতিনীতির সাথে খৎনা করানো হয়েছিল। আদিল ছিলেন শাহরিয়ার মোহাম্মদ ইউনুসের ছেলে (সঞ্জয়ের প্রকৃত বাবা, রাজীবের মা মাইমুনা ওরফে ইন্দিরার ছেলে)। আদিল শাহরিয়ার ছিলেন ইন্দিরা গান্ধীর ব্যক্তিগত সহকারী মোহাম্মদ ইউনুসের ছেলে। তিনি ইন্দিরা গান্ধীর তৃতীয় পুত্রের মতো লালিত-পালিত হয়েছেন। শাহরিয়ার আমেরিকায় গেলেও সেখানে গিয়ে অপরাধ জগতের অংশ হয়ে যান। ১৯৮১ সালের ৩০ আগস্ট আদিল মিয়ামির একটি হোটেলে ধরা পড়ে। তার বিরুদ্ধে হিংসায় জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। আদিলকে ধরার পর আমেরিকান প্রশাসন যখন তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে, তখন জানা যায় সে মাদক র্যাকেটের অংশ ।’
তিনি লেখেন,’১৯৮৫ সালে আমেরিকা সফরের সময়, রাষ্ট্রপতি রোনাল্ড রেগনের সাথে সাক্ষাতের সময়, রাজীব গান্ধী আদিল শাহরিয়ারের মুক্তির বিনিময়ে অ্যান্ডারসনকে (ভোপাল গ্যাস ট্র্যাজেডির সময় ইউনিয়ন কার্বাইডের চেয়ারম্যান) নিরাপদে দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য একটি অনৈতিক চুক্তি করেছিলেন ( আসলে ধরমভাই)।…এর পর তৎকালীন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট আদিল শাহরিয়ারের ৩৫ বছরের সাজা মাফ করে দিয়েছিলেন ।’
আদিল শাহরিয়ার সম্পর্কে তিনি লিখেছেন,’তার অন্যান্য অনেক অপরাধ প্রকাশ্যে আসে এবং আমেরিকান আদালত তাকে ‘বিপজ্জনক অপরাধী’ হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করে এবং তাকে ৩৫ বছরের কারাদণ্ড দেয় । ১৯৮১ সালে, আদিল শাহরিয়ারকে আমেরিকান আদালত নৌকায় বোমা লাগানোর অপরাধে ৩৫ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত । যে অপরাধে ১০ বছরের কারাদণ্ডের আগে প্যারোল পাওয়ার কোনো সুবিধা ছিল না ।’
‘সিআইএ-র একটি রিপোর্টে জানা গেছে যে ভারত সরকার অ্যান্ডারসনের বিনিময়ে আদিল শাহরিয়ারকে ফেরত চেয়েছিল । এই প্রতিবেদনটি ২০০২ সালে প্রকাশ করা হয়েছিল। খোদ সিআইএ রিপোর্টেও প্রকাশ যে দিল্লির নির্দেশ মেনে চলছিলেন মধ্যপ্রদেশের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী অর্জুন সিং !’
ইন্দিরা গান্ধীর সম্পর্কে তিনি লিখেছেন,’ক্যাথরিন ফ্রাঙ্কের বই “দ্য লাইফ অফ ইন্দিরা নেহরু গান্ধী (ISBN: 9780007259304) ইন্দিরা গান্ধীর অন্য কিছু প্রেমের সম্পর্কে আলোকপাত করে ! লেখা আছে যে ইন্দিরার প্রথম প্রেম শান্তিনিকেতনে একজন জার্মান শিক্ষকের সাথে ছিল। পরে তিনি এম ও মাথাইকে বিয়ে করেছিলেন ( বাবার সেক্রেটারি) । ধীরেন্দ্র ব্রহ্মচারী (তার যোগ শিক্ষক) এবং দীনেশ সিং (পররাষ্ট্রমন্ত্রী) এর সাথে তার প্রেমের সম্পর্কের জন্য বিখ্যাত হয়েছিলেন। প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী নটবর সিং মুঘলদের প্রতি ইন্দিরা গান্ধীর সম্পর্কের কথা বলে একটি আকর্ষণীয় উদ্ঘাটন করেছিলেন।’
তিনি লিখেছেন,তার বই(নটবর সিং) “প্রোফাইল এবং লেটারস” (ISBN: 8129102358) এ বলা হয়েছে যে ১৯৬৮ সালে, ইন্দিরা গান্ধী ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে আফগানিস্তানে একটি সরকারী সফরে গিয়েছিলেন। নটবর সিং একজন আইএফএস অফিসার হিসাবে এই সফরে গিয়েছিলেন। দিনের ঘটনার পর…ইন্দিরা গান্ধীকে সন্ধ্যায় হাঁটতে বের হতে হয়ছিল। গাড়িতে দীর্ঘ দূরত্ব ভ্রমণের পর, ইন্দিরা গান্ধী বাবরের সমাধি পরিদর্শন করতে চেয়েছিলেন, যদিও এটি সফরসূচীতে অন্তর্ভুক্ত ছিল না । আফগান নিরাপত্তা কর্মকর্তারা তার ইচ্ছায় আপত্তি জানায় কিন্তু ইন্দিরা অনড় থাকেন। অবশেষে তিনি সেই কবরস্থানে গেলেন ।’
ঘটনার বর্ননায় তিনি লিখেছেন,’এটা ছিল নির্জন জায়গা। তিনি(ইন্দিরা) বাবরের কবরে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়েছিলেন । চোখ বন্ধ করেছিলেন এবং নটবর সিং তার পিছনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। যখন ইন্দিরা তার প্রার্থনা শেষ করলেন, তিনি ফিরে এসে নটবরকে বললেন… “আজ আমি আমর ইতিহাসকে তাজা করে নিলাম ।’
তিনি লিখেছেন,’এখানে আমরা আপনাদের বলে রাখি যে বাবর ছিলেন মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা, এবং এই মুঘল সাম্রাজ্য থেকেই নেহেরু পরিবারের উৎপত্তি। এত বছর ধরে জনসাধারণের ভ্রম ছিল যে নেহেরু একজন কাশ্মীরি পণ্ডিত। যা সম্পূর্ণ ভুল…।’।