আমি প্রতিনিয়তই ভেঙে যাচ্ছি
ভেঙে যাচ্ছে আমার– কংক্রিট, চারপাশ
আমার প্রত্যাশার অলিন্দ!
ইট বালি পাথরের মতো করেই
ঝরে যাচ্ছে নির্মীয়মান আঁতেল উচ্চাশা সব।
আমি কংক্রিট কিনা জানিনা
কখনো রক্ত ঝরে, কখনো ঝরতে দেখি না।
জল ও শুকিয়ে গেছে বহুদিন আগে
ব্যাথার নদীতে ভেসে যাচ্ছে
আমার আধপোড়া ছাই।
বসন্তের দু’পা ঢেকে গেছে হলুদ পাতার আস্তরণে,
বাতাসের এলোমেলো ঘ্রাণে দিশেহারা যুবক।
লিখতে বসেছি, কি লিখবো– জানিনা।
গঙ্গার আত্মকথা লিখতে যেয়ে উপড়ে ফেলেছিলাম হৃদপিণ্ড।
মরীচিকায় জল ঢালা
খামশূন্য দেহখানা
এখন নিকোটিনের গন্ধ মাখা চিমনি!
আমার চারপাশে অসংখ্য সূর্যমুখ
আলোর সাথে ৪৮° তাপ,,,,,
এভাবে কি টিকে থাকা যায়?
পায়ের তলায় বালি
চারপাশে সূর্যের মুখ
মাথার ওপর খেয়ালি শূন্যতা–!
অথচ নক্ষত্রের আলো মেখে
তুমি চুপটি করে বসে–
দেখতে পাচ্ছি না তোমাকে
কিভাবে দেখতে পাবো বলো
আমি ভারত মহাসাগরের তীর ধরে হাঁটছি
পাহাড়ের কোলে একা হতে চেয়ে;
অথচ ত্রি-স্রোতা নদীর স্রোতে ভেসে যাচ্ছে
আমার বুক!
শুকনো কাঠ হলে আমিও ভেসে যেতে পারতাম।
কংক্রিটের উপর আস্থা হারিয়েছি
সুবর্ণরেখা’র বুক ছুঁয়ে ভাসতে চেয়ে,
এখন ভারত মহাসাগর ছুঁয়ে দেখার পালা।।