এইদিন ওয়েবডেস্ক,অযোদ্ধা,১৮ জানুয়ারী : আগামী ২২ জানুয়ারী রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে শঙ্করাচার্যরা যে বিতর্কের সৃষ্টি করেছেন তা নিয়ে জগদগুরু রামভদ্রাচার্যের বড় বিবৃতি সামনে এসেছে । শঙ্করাচার্যদের বিতর্কে জল ঢেলে দিয়ে একটি বেসরকারি চ্যানেলকে জগদগুরু রামভদ্রাচার্য বলেছেন,’রাম লল্লার অভিষেক সম্পন্ন করার জন্য মন্দিরের প্রয়োজন নেই । ২২ জানুয়ারী শিখরটি নির্মাণ হয়নি বলে বিরোধিতা করা ভুল । বিরোধীরা মূর্খ এবং ধর্মগ্রন্থ সম্পর্কে তাদের জ্ঞান নেই । একটি গর্ভগৃহ নির্মাণ করা হয়েছে। এখানে রামলালা প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং এটি একটি অংশ হয়ে গেছে। সীতা এবং রাম যখন দ্বিতীয় তলায় রাজকীয় পোশাকে বসবেন তখন একটি শিখর তৈরি হবে। শিখর নির্মাণের সঙ্গে প্রাণ-প্রতিষ্ঠার কোনো সম্পর্ক নেই ।’ রামভদ্রাচার্যের মতে, প্রাণপ্রতিষ্ঠা হল বৈদিক মন্ত্রের মাধ্যমে চেতনাকে মূর্তির মধ্যে সঞ্চারিত করা। রাম লালার ৫ বছর বয়সী শিশু মূর্তিটি মন্দিরের গর্ভগৃহে পবিত্র করা হবে এবং এই সময় বেশ কয়েকটি প্রক্রিয়া হবে। সেই সময় ঈশ্বরের চক্ষুদান করা উচিত। আমরা যখন যাই তখন খাবারের প্রতি একটা আবেশ, জলের প্রতি একটা আবেশ এবং বিছানার প্রতি একটা আবেশ। ‘
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সম্পর্কে তিনি বলেছেন, ‘আয়োজক এমন একজন হতে পারেন যিনি গুণী, যার খাদ্যাভ্যাস ও আচরণ পরিমিত। এমতাবস্থায় পিএম মোদিকে নির্বাচিত করা হয়েছে। তিনি ১১ দিন ধরে উপবাস করছেন। তিনি একজন মিতব্যয়ী ব্যক্তি এবং প্রধানমন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও তিনি আমিষ খান না। অভিষেক করার জন্য তাকে নির্বাচন করাতে কোনো দোষ নেই ।’
ইতিমধ্যেই রাম মন্দির উদ্বোধন শাস্ত্রসম্মত নয় বলে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেননা বলেছেন শঙ্করাচার্যরা । এই বিষয়ে জগদ্গুরু রামভদ্রাচার্য বলেন,’এটি তাঁদের ব্যক্তিগত বিষয়। তারা না এলেও কোনো ক্ষতি নেই। আমি রামানন্দাচার্য এবং আমি আসছি। রামানন্দাচার্যও শঙ্করাচার্যের মতো। মন্দিরের লড়াইয়ে কি কোনো শঙ্করাচার্য ছিলেন?’
জগদ্গুরু রামভদ্রাচার্যও রাম মন্দিরে ভগবানের অভিষেক সংক্রান্ত অনুষ্ঠানের পরে রামলালাকে নৈবেদ্য দেওয়ার কথা বলেছেন।। তিনি বলেন, মন্দিরে রামলালাকে দই ও ভাত নিবেদন করা হবে। চাল এসেছে ছত্তিশগড়ে মামার বাড়ি থেকে । তা থেকে প্রস্তুত ভাত নিবেদন করা হবে।’।