সকাল সকাল সুখ তারাটার-
হঠাৎ করে দেখা।
আধ ভেজা চুল, স্নিগ্ধ নয়ন লেপ্টে কাজল মাখা।
হেসেই ফেলি তাকিয়ে আমি-
কিরে! চললি কোথায় তুই?
তাকিয়ে বলে-
কেন! দেখতে এলাম তোকে, যাবি নাকি?
চল না, আজ যাই ছুটে ওই নন্দন চত্বরে।
কিংবা ভিক্টোরিয়া, বা সেই পুরোনো ছাদের ঘরে-
কিংবা চিনে বাদাম হাতে নিয়ে,
গড়ের মাঠে বসি-বসি-
নানা ভয় নেই তোর,
একটুও নয় চোখের জল আজ, শুধুই হাসা হাসি।
পাগল হলি, সকাল সকাল
কাজ নেই তোর?
শুনেই হেসে বললো শেষে, হা হা হা, জানি আমি
তাই তো অনেক আগেই, থামিয়েছি পাগলামি।
আচ্ছা – তুই সেই ঘড়িটা আর কখনো পরিস?
নানা- ওই মেরুন শার্টের, বোতামখানা-
এখনও খোলা থাকে?
আজও কি তুই মাঝে মাঝে সাইকেলেতে চড়িস?
কে বসে তবে সামনে, কার সাথেই বা ঘুরিস!
আচ্ছা, সেই ধোসাওয়ালা আজও ধোসা বানায়?
চায়ের দোকানে- না না, সেই ঝাল মুড়িটায়,
ওই লোকটা লঙ্কা বেশি দেয়?
নাকি ফুচকাওয়ালা ভুলেই গেছে আমাদের মুখখানা-
বল না বাবা, চুপ না থেকে-
কি যে বলিস,
একই আছে সবাই আজও, সবার মতো করে।
পাল্টে গেছি আমরা শুধু নিজের অহংকারে।
ওই ঘড়িটা আর পরিনা, যন্ত্র গেছে থেমে।
বোতাম খোলা আর থাকেনা, শুধরে গেছি ক্রমে।
সাইকেলে তো আর চড়িনা, সামনে বসে না কেউ।
ধোসাওয়ালা আর বসেনা বয়স গেছে বেড়ে,
ঝালমুড়িটা আর ভালো নেই, আমাদেরকে ছেড়ে।
ফুচকাওয়ালা এক’ই আছে, পাল্টে গেছে মুখ
আজকে আমার সঙ্গে সে যায় তাকে দেখেই সুখ।
মনে পড়ে?
নন্দনে তুই তাড়িয়ে দিলি আমায়,
ভুলতে হবে সমস্তটা, বোতাম ছেঁড়া জামায়।
পয়সা কড়ি, কামাই ও কম, তোর পছন্দ গাড়ি
বলে ছিলাম কয়েক বছর,
দে না আমায়, আমিও কিন্তু পারি।
ভাবছিস তুই ভুল করেছিস এত বছর বাদে,
খুনসুটিটা বন্ধ হলো চিলেকোঠার ছাদে।
ভালো থাকিস, আমিও আছি
বড়লোক তোর বর।
তাকে নিয়েই সুখে থাকিস
সুখে কর সংসার।।