এইদিন ওয়েবডেস্ক,উত্তর ২৪ পরগনা,১৭ জানুয়ারী : দিল্লির শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডের ছায়া উত্তর ২৪ পরগনার জেলার মধ্যমগ্রামে । পারিবারিক অশান্তির জেরে নিজের স্ত্রীকে খুনের পর দেহ টুকরো টুকরো করে দেহাংশ ব্যাগে ভরে খালের জলে ভাসিয়ে দিল ঘাতক স্বামী । অবশ্য পুলিশের কাছে ধরা পরার আশঙ্কায় নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করে সে । ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যমগ্রামের উত্তর জোজরা গ্রামে । সায়রা বানু বিবি(৪৯) নামে ওই মহিলার মুখের কিছুটা অংশ, হাতের টুকরো,গলার নীচ থেকে পেট পর্যন্ত অংশ জোজরা গ্রামের নোয়াই খাল থেকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ । অন্যদিকে ঘাতক স্বামী নুরউদ্দিন মণ্ডল বর্তমানে বারাসাত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ।
স্থানীয় পরিবার সূত্রে জানা গেছে, নুরউদ্দিনের সঙ্গে তার স্ত্রী সায়রা বানুর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই বিবাদ চলছিল । দিন কয়েক আগে সায়রা বানু বিবির হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যান । মহিলার স্বামী নুরউদ্দিন স্ত্রীকে খুনের বিষয়টি অন্যদিকে ঘোরানোর জন্য নিজেই থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেছিলেন । সেই ডায়েরির ভিত্তিতে মহিলার খোঁজ চালাতে শুরু করে পুলিশ । কিন্তু মহিলা নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পিছনে পুলিশের সন্দেহ গিয়ে পড়ে নুরউদ্দিনের উপর। পুলিশ নুরউদ্দিনকে আটক করে জেরা করতেই তে হাড় হিম করা খুনের ঘটনার বিবরণ দেয়ে ।
পুলিশ সূত্রে খবর,জেরায় নুরউদ্দিন মণ্ডল পুলিশকে জানায় যে প্রথমে সে স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে । তারপর দেহ টুকরো টুকরো করে দুটি পৃথক ব্যাগে ভরে ফেলে । এরপর দেহ লোপাট করার জন্য ব্যাগ দুটি দুই পৃথক জায়গায় ফেলে দিয়ে আসে । তার মধ্যে একটা ব্যাগ উদ্ধার হয় জোজরা গ্রামের নোয়াই খাল থেকে। অন্য বাগটির সন্ধান চালাচ্ছে পুলিশ ।
জানা গেছে,ধৃতকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে যে সায়েরাবানুর নামে থাকা একটা জমি ছিল। তিনি জমিটি মেয়েকে লিখে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল । কিন্তু নুরউদ্দিন জমিটি নিজের নামে করতে চাইছিল । তা নিয়েই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ । আর সেই বিবাদের জেরেই স্ত্রীকে নৃশংসভাবে হত্যা করে নুরউদ্দীন ।।