এইদিন ওয়েবডেস্ক,পাঞ্জাব,১৬ জানুয়ারী : প্রেমিকাকে চাকরির পরীক্ষায় পাস করাতে নজিরবিহীন কান্ড ঘটালো পাঞ্জাবের এক প্রেমিক । মেয়ে সেজে পরীক্ষা দিতে গিয়ে প্রেমিকের ঠাঁই হল জেলে । আসলে পাঞ্জাবের ফরিদকোট জেলার কোটকাপুরার ডিএভি পাবলিক স্কুলে স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগের পরীক্ষা হয় গত রবিবার । পরীক্ষা দেওয়ার জন্য স্কুল গেটের সামনে তখন পরীক্ষার্থীদের লম্বা লাইন । পরিচয়পত্র খতিয়ে দেখার পর বায়োমেট্রিক যন্ত্রে আঙুলের ছাপ মিলিয়ে একের পর এক পরীক্ষার্থীকে ভিতরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছিল । ওই লাইনেই শালোয়ার কামিজ,মাথায় মেয়েলি টুপি,ঠোঁটে লিপস্টিক, হাতে চুড়ি পরে একজন বায়োমেট্রিক যন্ত্রে আঙুলের ছাপ মেলাতে আসে । তার সঙ্গে আনা আধার কার্ড পরীক্ষা করে সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মীদের চোখে তেমন সন্দেহজনক কিছু ধরা পড়েনি । কিন্তু বায়োমেট্রিক যন্ত্রে পরীক্ষার্থীর আঙুলের ছাপ কিছুতেই মিলছিল না । আর এতেই সন্দেহের সৃষ্টি হয় পরীক্ষাকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা কর্মীদের । রহস্য উদঘাটনের স্থানীয় থানায় খবর দেয় তারা । খবর পেয়ে পুলিশ আসে । এরপর পুলিশ ওই পরীক্ষার্থীকে জেরা করতেই বায়োমেট্রিক যন্ত্রে আঙুলের ছাপ না মেলার কারন খুলে বলে সে । তার কাছে আসল সত্য শুনে কার্যত থ’বনে যায় পুলিশ ও পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা লোকজন । কারন মেয়ের পোশাকে আসা মানুষটি মহিলা নন, বরঞ্চ সে এখন পুরুষ ।
জেরায় পুলিশ জানতে পারে যে পরীক্ষা দেবার কথা ছিল পরমজিত নামে এক তরুনীর । কিন্তু পরমজিতের সেভাবে প্রস্তুতি না থাকায় তার প্রেমিক আংরেজ সিং একটা ফন্দি বের করে । প্রেমিকাকে চাকরির পরীক্ষায় পাশ করাতে তার নামে নকল আইডি কার্ড ও আধার কার্ড ছাপায় আংরেজ সিং ।পরিচয়পত্রের ছবির জন্য সে মেয়েলি পোশাকে ছবিও তোলে । কিন্তু পরীক্ষা কেন্দ্রে যে বায়োমেট্রিক পরীক্ষা হবে তা সে স্বপ্নেও কল্পনা করেনি । আর বায়োমেট্রিক যন্ত্রে আঙুলের ছাপ মেলাতে গিয়েই সে ধরা পড়ে যায় । পুলিশ ওই যুবককে আদালতে তুললে তাকে জেল হেফাজতে পাঠানো হয় ।।