দিব্যেন্দু রায়,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান) ১৫ জানুয়ারী : কয়েকদিন ধরেই পূর্ব বর্ধমান জেলার তাপমাত্রা দশ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে । তীব্র শৈত্যপ্রবাহ থেকে বাঁচতে অনেকেই আগুন পোহাচ্ছেন ৷ এদিকে আগুন পোহাতে গিয়ে ঘটছে দুর্ঘটনাও । এমনই দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন পূর্ব বর্ধমান জেলা কাটোয়া মহকুমা এলাকার দুই গৃহবধূ । তার মধ্যে একটি ঘটনা ঘটে মঙ্গলকোট থানার শ্যামবাজার গ্রামে । অন্য ঘটনাটি ঘটে কাটোয়া থানার সিঙ্গি গ্রামে । অগ্নিদগ্ধ দুই গৃহবধূক মিতা সর্দার (৪০) ও করবী দাসকে (৩৪) কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে । তাদের দুজনেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে ।
জানা গেছে, মঙ্গলকোট থানার শ্যামবাজার গ্রামের বাসিন্দা মিতা সর্দারের স্বামী বিকাশ সর্দার জনমজুরির কাজ করেন । বাড়ির গৃহপালিত পশুগুলি দেখভাল করেন মিতা দেবী । অন্যান্য দিনের মতো আজ রবিবার সকালেও মাঠে গবাদি পশুর চড়াতে গিয়েছিলেন ওই গৃহবধূ । এদিকে সকাল থেকেই ঘন কুয়াশার কারণে প্রবল শৈত প্রবাহ চলছিল । মিতা দেবী মাঠে যাওয়ার পর ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচতে জমিতে পড়ে থাকা খড়কুটো কুড়িয়ে আগুন জ্বালিয়ে তার পাশেই বসে আগুন পোহাচ্ছিলেন । সেই সময় তার পরনের কাপড়ে আগুন ধরে দাউদাউ করে জ্বলতে শুরু করে । বেশ কিছুক্ষণ পরে মাঠের অন্যান্য লোকজনের নজরে পড়লে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ।
দ্বিতীয় ঘটনার বিবরণে জানা গেছে,কাটোয়া থানার সিঙ্গি বাসিন্দা করবী দাস তার মেয়ে জ্যোতি এদিন সকালে পারিবারিক গোয়ালঘরের পাশে খামারে খড়কুটো জ্বেলে আগুন পোহাচ্ছিলেন। এই সময় করবীদেবীর কাপড়ে আগুন ধরে যায় । জ্যোতি মায়ের শরীরে লাগা আগুন নিভিয়ে ফেললেও মারাত্মকভাবে অগ্নিদগ্ধ হন করবি দেবী। অল্পবিস্ত রোগ নিরক্ত হয় করবি দেবীর মেয়েও । এরপর মা ও মেয়েকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । মেয়েকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেয়া হলেও মায়ের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে নেয়া হয় ।।