এইদিন ওয়েবডেস্ক,বেইজিং,১৪ জানুয়ারী : পাকিস্তান, ইরানের মত কট্টরপন্থী ইসলামিদেশগুলি তথাকথিত কমিউনিস্ট রাষ্ট্র চীনকে ‘অবতার’ হিসাবে মনে করে । অথচ চীনের উইঘুর মুসলিমদের উপর শাসনযন্ত্রের অবর্ণনীয় নির্যাতন দেখেও তারা মুখে কুলুপ এঁটে থাকে,সমরাস্ত্র বা আর্থিক সহযোগিতার আশায় । উইঘুর মুসলিমদের উপর চীনের পুলিশ বা সেনার অত্যাচারের ভিডিও প্রায়ই ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায় । ফের এমনই একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে । ইসলামিক টেরোরিস্ট (@raviagrawal3) নামে এক ইউজার্স ওই ভিডিওটি এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করে লিখেছেন,’চীনা পুলিশরা একজন উইঘুর মুসলিমকে হাতকড়া পরিয়ে রাস্তায় ফেলে দেয়, পিটিয়ে হত্যা করে…? কিন্তু মুসলিম বিশ্ব নীরব…! কেন…?’
ভিডিওতে দেখা গেছে সদ্য যৌবনে প্রবেশ করা এক যুবকের দু’হাত পিছনের দিকে করে হাতকড়া পরানো রয়েছে । রাস্তার উপরে ফেলে দু’তিনজন মিলে তাকে এলোপাতাড়ি লাথি মারছে । যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছে ওই যুবক ।
প্রসঙ্গত,চীনের উইঘুর মুসলমানদের বসবাস মূলত শিনজিয়ান প্রদেশে । শিনজিয়ানে প্রায় এক কোটি কুড়ি লক্ষ উইঘুর মুসলমান বাস করে । জাতিসংঘের অভিযোগ, সেখানে উইঘুর মুসলমানদের প্রতি “গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন” হয় । চীনের বন্দী শিবিরে উইঘুর নারীরা গণধর্ষণের শিকার হচ্ছেন । সম্প্রতি জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে আটক বন্দীদের সঙ্গে অপরাধমূলক আচরণ করা হয়েছে, যার মধ্যে যৌন ও লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতার ঘটনা রয়েছে। জোরপূর্বক পরিবার পরিকল্পনা ও জন্মনিয়ন্ত্রণ নীতির বৈষম্যমূলক প্রয়োগ করা হচ্ছে । এই ধরনের ঘটনাকে ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ’ বলে অবিহিত করেছে জাতিসংঘ ।
জাতিসংঘ অবশ্য বলেছে যে চীনের সরকার ঠিক কত সংখ্যক উইঘুরকে আটকে রেখেছে তা নিশ্চিত করা যায়নি। মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর অনুমান যে উত্তর-পূর্ব চীনের শিনজিয়ান অঞ্চলের শিবিরে দশ লক্ষের বেশি লোককে আটক রাখা হয়েছে। তার মধ্যে অমুসলিমরাও থাকতে পারে বলে অনুমান করছে জাতিসংঘ । এর আগে বেশ কয়েকটি দেশ শিনজিয়ানে চীনের কর্মকাণ্ডকে গণহত্যা বলে বর্ণনা করেছিল ।।