এইদিন ওয়েবডেস্ক,গুয়াহাটি,১২ জানুয়ারী : আসামে লাভ জিহাদের চাঞ্চল্যকর একটি ঘটনা ঘটেছে । একই সংস্থায় কাজ করার সুবাদে এক যুবকের সাথে পরিচয় হয় এক হিন্দু তরুনীর । ওই যুবক নিজেকে হিন্দু বলে পরিচয় দিয়ে তাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে । পরে তরুনী তার আসল পরিচয় জানতে পেরে সম্পর্ক থেকে সরে আসার চেষ্টা করে । কিন্তু লাভ জিহাদি যুবক তরুনীর এডিট করা অশ্লীল ছবি দেখিয়ে তাকে ব্লাকমেলিং শুরু করে । ব্লাকমেলিং করে মেয়েটিকে সে বাংলাদেশে পাচারের পরিকল্পনা করেছিল । কিন্তু বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) সহায়তায় ত্রিপুরা-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে তরুনীকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে আসাম পুলিশ । গ্রেফতার করা হয়েছে লাভ জিহাদি যুবককেও । ধৃতের নাম মুমিন । তার বাড়ি বাংলাদেশে । এই ঘটনায় নাম জড়িয়েছে ডাঃ সামসুর নামে কংগ্রেসের এক নেতার ।
সংবাদমাধ্যম নর্থ ইস্ট নাও-এর প্রতিবেদনে জানা গেছে,আসামের করিমগঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে কংগ্রেসের প্রার্থী ডাঃ সামসুরের মালিকানাধীন একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কাজ করত পম্পা রানী দাস নামে ওই হিন্দু তরুনী । একই কেন্দ্রে কাজ করত বাংলাদেশি যুবক মুমিন । মুমিন নিজেকে হিন্দু পরিচয় দিয়ে মেয়েটিকে প্রেমের জালে ফাঁসায় । কিন্তু মুমিনের আসল ধর্ম পরিচয় জানার পর থেকেই সম্পর্ক থেকে সরে আসার চেষ্টা করছিলেন পম্পা রানী ।
তরুনীর মা বলেন,’ওই ছেলেটার ধর্মীয় পরিচয় সম্পর্কে জানার পরে, আমার মেয়ে সম্পর্কটি শেষ করার সিদ্ধান্ত নেয়। পরবর্তীকালে,ওই মুসলিম যুবক হেরফের করা ছবি ব্যবহার করে মেয়েকে ব্ল্যাকমেইল করতে শুরু করে । সে এই ছবিগুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করার হুমকি দিচ্ছিল । এরপর গত ৭ জানুয়ারী, আমার মেয়ে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয় এবং আমরা নিশ্চিত ছিলাম যে ওই মুসলিম যুবক আমার মেয়েকে অপহরণ করেছে ।’
কাছাড়ের এসপি নুমাল মাহাত্তা জানিয়েছেন, অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনার তদন্তে নেমে মোবাইল ফোনের সূত্রে ওই যুবক যুবতীর অবস্থান ট্র্যাক করা হয় । তারা ত্রিপুরায় বাংলাদেশ সীমান্তে ছিল বলে জানতে পারা যায় । বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের সাথে সমন্বিত প্রচেষ্টা সফলভাবে তরুনীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে এবং অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে।
বিশ্বহিন্দু পরিষদের নেতা মিঠুন নাথের মতে, অভিযুক্ত বাংলাদেশের নাগরিক এবং এটি “লাভ জিহাদের” সম্ভাব্য মামলা । তিনি দাবি করেন যে বাংলাদেশী মুসলিম যুবকদের দ্বারা আসামের হিন্দু মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করে বাংলাদেশে পাচার করে দেওয়া হচ্ছে ।।