আটটি পায়ের সন্ধিপদী অমেরুদণ্ডী কীট,
নিপুণ যে তার শিল্পকলা এক্কেবারেই ফিট।
সিঁড়ির ঘরে বুনছে যে জাল লালা রস দিয়ে,
এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে যায় ফাঁদ পাততে গিয়ে।
ক্ষুধার জ্বালা নিবারণে খাটে সর্দি থেকে গর্মী,
ওহে মাকড়সা তুমিই হলে বিচক্ষণ কর্মী।
ওত পেতে থাকে বসে,আসবে কখন শিকার
করবে জোগাড় তখন সন্তানদের আহার।
শিকার না আসলে পরে খাবার খুঁজতেই হন্যে
ক্ষুধা মেটাতে নিজ হৃৎপিণ্ড দেয় সন্তানের জন্যে।
জীবন যোদ্ধা মাকড়সাকে অপরিছন্ন ভাবা ভুল
ঘরের কোনো ইন্দ্রজাল বুনেছিল, মা ভেবেছে ঝুল।