এইদিন ওয়েবডেস্ক,কেতুগ্রাম(পূর্ব বর্ধমান),০৯ জানুয়ারী : মোটরভ্যানে উপর চাপানো ছিল একটি জেনারেটর ও বক্স । পিকনিক শেষে বাড়ি ফেরার সময় দাঁড় করিয়ে রাখা ভ্যানে চাপানো বক্সের গানের তালে আশেপাশে নাচানাচি করছিল কিশোর কিশোরীর দল । সেই সময় তাদের মধ্যে এক কিশোরী লাফিয়ে ভ্যানে চড়তে গেলে জেনারেটরের চাকায় জড়িয়ে যায় তার মাথার চুল । দ্রুত বন্ধ করে দেওয়া হয় জেনারেটরটি । কিন্তু তার আগে থেঁতলে যায় কিশোরীর মাথা । মেয়েটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে তড়িঘড়ি হাসপাতালে আনা হয় । কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি । মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রাম থানার গোমাই গ্রামে । মৃত কিশোরীর নাম রুমা দাস(১৫)। সে কেতুগ্রাম আশুতোষ মেমোরিয়াল ইন্সটিটিউশনের দশম শ্রেনীর ছাত্রী ছিল । ঘটনার পর থেকে শোকস্তব্ধ গোটা গ্রাম ।
জানা গেছে,সোমবার সকালে গোমাই গ্রাম থেকে ৪৫ – ৫০ জন কিশোর-কিশোরীদের একটি দল গ্রামের কাছে ঈশানী নদীর ধারে পিকনিক করতে গিয়েছিল । বক্স বাজানোর জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল একটা জেনারেটর ও রান্নার সামগ্রী । সন্ধ্যা নাগাদ পিকনিক শেষ হলে ভ্যানে জেনারেটরটি চাপিয়ে তাতে চড়েই বাড়ি ফিরার প্রস্তুতি নিচ্ছিল কিশোর-কিশোরীরা । বক্সের গানের তালে অনেকে নাচানাচি করছিল দাঁড়িয়ে থাকা ভ্যানের উপর । সেই সময় লাফিয়ে ভ্যানে উঠতে যায় রুমা । আর তখনই জেনারেটরের চাকায় জড়িয়ে যায় তার মাথার চুল । দ্রুত জেনারেটর বন্ধ করে দেয় কিশোরীর সহপাঠীরা । এরপর তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে কেতুগ্রাম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় । কিন্তু চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন । রাতেই কিশোরীর দেহটি কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় । আজ মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত করার পর দেহটির সৎকার করা হয় ।
জানা গেছে,কেতুগ্রাম থানার গোমাই গ্রামের বাসিন্দা রবি দাস ও রূপালীদেবীর মেয়ে রুমা । রবিবাবু কলকাতায় এক ব্যবসায়ীর কাছে কাজ করেন । তার এক ছেলে কয়েকবছর আগে রোগ আক্রান্ত হয়ে মারা যায় । একমাত্র সন্তান ছিল রুমা । মেয়েকে হারানোর পর বাকরুদ্ধ ওই দম্পতি ।।