এইদিন ওয়েবডেস্ক,হাওড়া,০৮ জানুয়ারী : ‘পশ্চিমবঙ্গের তথাকথিত সেকুলারিজমের মানে হচ্ছে হিন্দুদের আক্রমণ করো । সরস্বতী পূজো বন্ধ,ভুল চন্ডী পাঠ করো- এর মানেই পশ্চিমবঙ্গের সেকুলারিজম । পশ্চিমবঙ্গের সেকুলারিজমের মানে বিকাশ ভট্টাচার্য আর সুবোধ সরকারের প্রকাশ্য রাস্তায় গরুর মাংস খাওয়া । টিভিতে দেখাবে,খবরের কাগজে ছবি বের হবে, এরই নাম হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের তথাকথিত সেকুলারিজম । এখানকার সেকুলারিজম মানে হিন্দুদের আক্রমণ করো । হিন্দুদের খুন ধর্ষণ করো । আর আপনি ধ্বজ নিয়ে জয় শ্রীরাম বললে আপনি সাম্প্রদায়িক । এই ব্যবস্থা ভাঙতে হবে ।’ আজ সোমবার রাতে হাওড়ার রামরাজাতলায় ‘রামরাজাতলা শীতলামাতা সেবা সমিতির’ উদ্যোগে অযোধ্যায় মর্যাদাপুরুষোত্তম ভগবান শ্রী রামচন্দ্রের মন্দির পুনঃপ্রতিষ্ঠা উপলক্ষ্যে উৎসবে সাধুসন্ত, মন্দিরের পুরোহিত এবং করসেবকদের সংবর্ধনা জ্ঞাপন ও সেবাদান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথাই বললেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ।
তিনি রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করে বলেন,’তথাকথিত সেকুলারিজমের নামে যারা চাকরি বিক্রি করে, রেশন দুর্নীতি করে, সেই লোকগুলো একটা প্রাচীর তৈরি করে রেখেছে পশ্চিমবঙ্গে । বাঙালি অবাঙিলের মধ্যে বিভাজনের সৃষ্টি করছে । যোগী আদিত্যনাথের মত বলতে শিখুন, ‘আমি ভারতীয়, আমি হিন্দু’ । আপনি যতদিন না এই প্রাচীর ভাঙতে পারবেন ততদিন বাংলাদেশ থেকে মুসলিম রোহিঙ্গারা ঢুকতে থাকবে ।’
বাংলাদেশে প্রতিবছর হিন্দু জনসংখ্যা হ্রাস নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন,’যখন দেশ ভাগ হয়,তখন বাংলাদেশে ৩১ শতাংশ হিন্দু ছিল । আজকে ৮ শতাংশে চলে এসেছে । কিছুদিন পরে এটাও দেখবেন শুন্য হয়ে গেছে । রাজাকাররা বাংলাদেশকে হিন্দু শুন্য করার জন্য লেগে আছে প্রতিনিয়ত । তাই সবাইকে এক থাকতে হবে । ধ্বজের তলায় এক থাকতে হবে, ওঁ-এর তলায় এক থাকতে হবে,স্বস্তিকের তলায় এক থাকতে হবে । জয় শ্রীরামের তলায় এক থাকতে হবে । গীতার তলায় এক থাকতে হবে ।’
তিনি বলেন,’আমাদের শ্রীমদ্ভাগবতগীতার একটা লাইন আছে,’ধর্ম রক্ষতি রক্ষিতঃ’৷ অনেক অভাব অভিযোগ থাকতে পারে কিন্তু ধর্মের সঙ্গে কখনো সমঝোতা করবেন না । ভারতবর্ষ না থাকলে সনাতন থাকবে না । শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি না থাকলে পশ্চিমবঙ্গই হত না । তখন কোথায় যেতেন আপনারা ?’ শুভেন্দু অধিকারী বলেন,’প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী না থাকলে রামমন্দির নির্মান হত না । অন্য কেউ থাকলে লোকসভায় সাহবানুর মত আইন বদল করে দিত ।’ পাশাপাশি তিনি স্পষ্ট করে দেন অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মান আর দীঘায় জগন্নাথ ধাম নির্মান এক নয় । কারন দীঘায় যেটা নির্মান করা হচ্ছে সেটা জগন্নাথ ধাম কালচারাল সেন্টার, মন্দির নয় ।।