ফসিল হয়ে বেঁচে থাকার নিদারুণ বার্তা দিয়েছিলে তুমি
হয়েও ছিলাম,
হঠাৎ দেখি সেই ফসিল দিয়ে এক ভাস্কর
তোমার মূর্তি গড়ে প্রতিষ্ঠা দিল
আমার অস্তিত্ব সেখানেই সমাধিস্থ হল নীলা।
পৃথিবীতে একদিন বন্যা দেখা দিল
কি ভীষণ বন্যা
শাশ্বত জলের স্রোতে মানুষের ঘরবাড়ি ভেসে যায়-
অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যায় বিপন্ন চোখের জলে।
রাস্তা দিয়ে হাঁটছি-
দেখছি চারিদিকে সাদা আর সাদা ফুল ফুটে আছে
কি ফুল?
শাপলা-
মানুষের থেকে দূরে থাকার দূরন্ত অভিমানে
যে ফুল মাটির গভীর থেকে গভীরে নির্জীব হয়ে বেঁচে থাকার চিঠি দিয়েছিল সূর্যকে-
সেই ফুল ফুটেছে সারা পৃথিবী জুড়ে।
জীবন কখনো শেষ হয়না,
প্রতিশ্রুতি কখনো বৃথা হয়না।
তোমাকে খুঁজি কোনো এক অন্তিম দীর্ঘক্ষণের শেষ বেদনার্ত দৃষ্টিতে,
তোমাকে নিয়ে কল্পিত সাম্রাজ্য গড়ার লোভাতুর চেতনায়।
তুমি কত দূরে-
মিশে আছো রাত্রির অন্ধকারে,
বাড়ির কার্নিশে প্রতিটি ইঁটে তোমার আবক্ষ মূর্তি খেলা করে ছায়া হয়ে গভীর রাতে,
বিনিদ্র রজনী আমার কেটে যায় অভিমান অভিলাষে-
প্রেম সেকি জীবন্ত নাকি নির্জীব?
গাছেদের গভীর মায়া প্রতিটি পত্র রন্ধ্রে-
বাকলের গভীরতর মমতায়
মাটি থেকে রস নিয়ে বেঁচে থাকার সহিষ্ণু আকুলতায়।
তুমি তেমন করে কি আমাকে চেয়েছিলে?
রাতের অন্ধকারে কাঁদে পিশাচ অথবা প্রেমিক। জলের সাথে জল হয়ে সময় তোমাকে ঢেকে দিক,
আমার চেতনা থেকে পাথুরে ঘাম ঝরুক।
বিষন্ন রাত্রিযাপন আমাকে কাঁদাবে এমন স্পর্ধা তার নাই।
ঊনিশ বছর পরে যদি মেঘ হয়ে যাই-
মেঘেরও স্পর্ধা নেই আমাকে বৃষ্টি গড়ার,
তবুও যদি বৃষ্টি হয়ে যাই নীল চেতনায়,
তোমাতেই ধ্যানস্থ হতে চাই।
এভাবেও বেঁচে থাকা যায় –
ঘাসের ভিতর থেকে প্রতিশ্রুতি নিয়ে,
শিশিরের সন্তান শিশিরে ঘুমায় ।।