এইদিন ওয়েবডেস্ক,শিলিগুড়ি,০২ জানুয়ারী : আগে থেকেই তিন নাতনি রয়েছে,তার উপর ফের এক কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছিল পুত্রবধূ । এটা মেনে নিতে পারেননি বধূর শ্বশুর শাশুড়ী । আর সেই অসন্তোষ থেকে তারা ঘটিয়ে দেয় এক অমানবিক কান্ড । চতুর্থ নাতনিকে মৃত সাজিয়ে তারা তাকে তুলে দেয় এক দম্পতির হাতে । ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ির মাটিগাড়া থানা এলাকায় । যদিও ঘটনার খবর পেয়ে বধূর শ্বশুর নরেন দাস ও শাশুড়ী বেলা দাসকে গ্রেফতার করেছে মাটিগাড়া থানার পুলিশ । কাওয়াখালির বাসিন্দা রজত বিশ্বাস ও সোমা বিশ্বাস নামে যে দম্পতির হাতে নবজাতককে তুলে দেওয়া হয়েছিল তাদেরও গ্রেফতার করা হয়েছে । ধৃত চারজনকে শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তুলে নিজেদের হেপাজতে নিয়েছে পুলিশ । শিশুটিকে বিক্রি করা হয়েছিল কিনা তা জানার চেষ্টা চালছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জানা গেছে,নরেন দাস ও বেলা দাসের ছেলে সুদাসন দাস মাস তিনেক আগে মারা গেছেন । তখন তার ১০, ৯ এবং ৩ বছরের তিন কন্যাসন্তান ছিল ।গত ১২ তারিখে বাড়িতেই এক কন্যাসন্তানের জন্ম দেয় তাদের পুত্রবধূ বিশাখা দাস । পরের দিন উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে আরও এক পুত্রসন্তানের জন্ম দেন তিনি । বিশাখা দাসের সদ্যজাত কন্যাসন্তান তার শ্বশুর শাশুড়ির কাছেই ছিল । কিন্তু তিনি সপ্তাহ খানেক পর বধূ বাড়ি ফিরে এলে তাকে জানানো হয় যে তার কন্যাসন্তানের মৃত্যু হয়েছে । কিন্তু গত শনিবার বিশাখাদেবীকে তার শ্বশুর শাশুড়ি ব্যাঙ্কের কাজের নাম করে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে তিনি জানতে পারেন যে তার সদ্যজাত কন্যাসন্তান মৃত নয় জীবিত এবং তাকে অসুস্থ অবস্থায় জেলা হাসপাতালর আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে ।
জানা গেছে, বিশাখা দাস তার সন্তানকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি করেন । কিন্তু রজত দম্পতি বিশ্বাস ও সোমা বিশ্বাস শিশুটিকে ফিরিয়ে দিতে অস্বীকার করেন । এরপর দেবর সঞ্জয় দাসের সঙ্গে রবিবার মাটিগাড়া থানায় গিয়ে শ্বশুর শাশুড়ি সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন বিশাখাদেবী । এরপর অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে পুলিশ ।।